শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতেও চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা গেল বেহালা পশ্চিমের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে।


শনিবার সন্ধেয় বেহালা পশ্চিমে আয়োজিত হয়ে গেল শাসক দলের বিজয়া সম্মিলনী (TMC Bijaya Sammilani)। অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। মিষ্টি মুখ। সবই হল। কিন্তু সবের মধ্যেও মঞ্চটা যেন বার বার মনে করিয়ে দিল, এবার তিনি নেই এই অনুষ্ঠানে। তিনি মানে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এবার আর বিজয়া সম্মিলনীতে তাঁর থাকা হল না। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তিনি এখন ইডি-সিবিআই-এর নাগপাশে জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর এখন রাত কাটছে হাজতে। তবে শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতেও চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা গেল বেহালা পশ্চিমের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে।


পার্থ বাবু নেই তো কী হয়েছে, তা বলে অনুষ্ঠান তো বন্ধ রাখা যায় না। মঞ্চ আলো করে ছিলেন বসেছিলেন নেতা-নেত্রীরাও। উপস্থিত ছিলেন দেবাশীষ কুমার, রত্না চট্টোপাধ্যায়, তারক সিং-এর মতো নেতা-নেত্রীরা। শুধু তাই নয়, দেখা মিলল বেহালা পশ্চিমের সব কাউন্সিলরদেরও। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মিষ্টি মুখের মধ্য দিয়ে আয়োজিত হয় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। দেবাশীষ কুমার, রত্না চট্টোপাধ্যায় সবাই নিজের নিজের মতো করে বক্তব্য রাখলেন। দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করলেন। বিজেপিকে আক্রমণও করলেন এসবের মাঝে। কিন্তু পার্থ বাবু? তাঁকে কি কেউ মনে রাখলেন?


পার্থ চট্টোপাধ্যায় থাকলেন কি থাকলেন না, সেটিকে আপাতত বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না দল। দল যে সবার ঊর্ধ্বে সেই কথাটিই যেন বুঝিয়ে দেওয়া হল এদিন। দেবাশিস কুমার যেমন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “কে আছেন বা কে নেই, সেটি বড় কথা নয়। তৃণমূল কংগ্রেস আছে। তৃণমূল আছে বলেই এত কর্মী ও সমর্থক আজ এখানে এসেছেন। তৃণমূলের আসল শক্তিই হল দলের সহকর্মীরা। সেটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার বলেছেন। আজ বেহালা পশ্চিমে এত কর্মী আমাদের আছে, এখানকার সংগঠন অত্যন্ত মজবুত।” উল্লেখ্য, দল ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে খানিক দূরত্ব তৈরি করে নিয়েছে। মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়েছে। দলের সমস্ত পদ থেকেও সরানো হয়েছে পার্থ বাবুকে। এও জানানো হয়েছে, যদি কারও কোনও দোষ প্রমাণিত হয়, দল তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours