এক রিয়ালিটি শো'র মঞ্চে আবারও যেন নির্মাণ হল সেই আইকনিক দৃশ্যের। সীতাবেশে এলেন দীপিকা, রামবেশে অরুণ।


সাল ১৯৮৭, চ্যানেল দূরদর্শন। সে সময় বেসরকারি চ্যানেলের রমরমা ছিল না। তবু টিভিতে তাঁরা এলেই ফাঁকা হয়ে যেত রাস্তাঘাট, যাঁদের বাড়ি টিভি ছিল না তাঁরাও ভিড় করতেন পড়শির দুয়ারে। এমনই ম্যাজিক এঁকেছিলেন রামানন্দ সাগর, তাঁর পরিচালিত ‘রামায়ণ’ দিয়ে। ওই ধারাবাহিকে রামের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অরুণ গোভিলকে আর মা সীতার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দীপিকা চিখলিয়া। কালের নিয়মে তাঁরা আজ প্রবীণ, তবু ক্যারিশ্মা তো কমেনি। কমেনি রাম-সীতার সেই রসায়নও। বহু বছর পর আবারও এক হলেন রাম-সীতা। দেখা হল অরুণ-দীপিকার। সঙ্গে তাঁদের সেই না ভোলা সংলাপ, যা বহু বছর আগে হৃদয় ছুঁয়েছিল দর্শকদের।

এক রিয়ালিটি শো’র মঞ্চে আবারও যেন নির্মাণ হল সেই আইকনিক দৃশ্যের। সীতাবেশে এলেন দীপিকা, রামবেশে অরুণ। মঞ্চে এসেই অরুণের পা ছুঁলেন দীপিকা। জানালেন তাঁকে ‘উপদেশ’ দিতে কারণ তিনি যে তাঁর ‘দাসী’। স্ত্রী যে দাসী নন, বহু বছর আগেই রামানন্দ তাঁর পরিচালিত ‘রামায়ণ’-এর মধ্যে দিয়ে দর্শককে জানিয়েছিলেন। সে কথাই যেন আরও একবার ২০২২-এ এসে মনে করিয়ে দিলেন রাম-রূপী অরুণ। বললেন, “আমার দাসী হয়ে কোনওদিন থেকো না। তুমি আমার অর্ধাঙ্গিনী, মিত্র, সখা।” আরও বললেন। “রামের জীবনে তুমি ভিন্ন আর কোনও দ্বিতীয় নারী আসবে না।” মহাকাব্যের সেই অমোঘ সৃষ্টি দর্শক আবারও দেখলেন রিয়ালিটি শো’র মঞ্চে। ভাসলেন আবেগে, কেউ কেউ আবার হাতড়ে নিলেন নস্টালজিয়া। হাজার হোক, এ জুটির এই কেমিস্ট্রি যে ভোলার নয়।

রিয়ালিটি শো’টিতে বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন নোরা ফতেহি, করণ জোহর ও মাধুরী দীক্ষিত। ওই দৃশ্য দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না তাঁরাও। মুখে হাসি, মনে আনন্দ। এভাবেই এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে সৃষ্টি হল টেলিভিশনের স্ক্রিন জুড়ে। সাক্ষী থাকলে উপস্থিত জনতা, সাক্ষী থাকল দর্শক।



Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours