কাজল প্রতিদিনই প্রাতঃভ্রমণে যেতেন। শনিবার সকালেও বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে ফিরতে তাঁর দেরি হওয়ায় পরিবারের তরফে খোঁজ শুরু হয়।

রক্তে ভেসে যাচ্ছে শরীর। জামাকাপড় থেকে শুরু করে মেঝে-সবই রক্তে ভেজা। সাতসকালে এক ব্যক্তিকে ভয়ঙ্কর অবস্থায় দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান প্রতিবেশীরা। শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে ভরতপুরের সুন্দিপুর গ্রামের কাছে। মৃত ব্যক্তির নাম কাজল দত্ত (৪৭)। তিনি সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।

পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, কাজল প্রতিদিনই প্রাতঃভ্রমণে যেতেন। শনিবার সকালেও বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে ফিরতে তাঁর দেরি হওয়ায় পরিবারের তরফে খোঁজ শুরু হয়। এই সময়েই স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।

রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, তাঁর শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল। সুন্দিপুর গ্রামের মাঠে ওই অবস্থায় পড়ে ছিলেন তিনি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছে কাজলকে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ কাজলের এক বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির সঙ্গেই কাজল প্রাতঃভ্রমণে বের হতেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কোনও একটি বিষয়ে পুরনো শত্রুতা থেকে খুন, সেটি ব্যবসায়ীকও হতে পারে। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। আদৌ পুরনো শত্রুতা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours