এদিন বিধানসভা চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পবন সিং স্পষ্ট করে দেন, তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন না।

 রাজ্য বিধানসভায় দেখা মিলল অর্জুন-পুত্র পবন সিংয়ের। বাবা-ছেলের রাজনৈতিক পথ এখন আলাদা। সাংসদ অর্জুন সিং পদ্ম-সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলে ঘর-ওয়াপসি করেছেন। তবে তাঁর পুত্র পবন সিং বাবার পথে হাঁটেননি। তিনি এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন। বিজেপির বিধায়ক তিনি। তবে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের হেভিওয়েট নেতার পুত্রর রাজনৈতিক গতিবিধি আগামী দিনে কোন পথে মোড় নেবে, তা নিয়ে অর্জুনের ঘর ওয়াপসির পর থেকেই চলছে কাঁটাছেঁরা। তবে এদিন বিধানসভা চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পবন সিং স্পষ্ট করে দেন, তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন না।



উল্লেখ্য, এদিন বিধানসভায় এসেছিলেন অর্জুন সিংও। তিনি এসেছিলেন তাপস রায়ের সঙ্গে দেখা করতে। তবে সেই সময় তাপস বাবু তাঁর বাড়িতে কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। তাই আর বিধানসভায় যেতে পারেননি তাপস রায়। এদিকে বুধবার বেশ কিছুক্ষণ তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের ঘরে কাটান অর্জুন সিং। কিন্তু বিধায়ক না আসায় তিনি আবার বেরিয়ে যান। উল্লেখ্য, অর্জুন-পুত্র পবন সিং বিজেপির বিধায়ক হলেও, সাম্প্রতিককালে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি তাঁকে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। যদিও পবন সিং-এর বলছেন, “যখন দল ডাকে, যখন দলের প্রয়োজন হয়, নিশ্চয়ই আমি সেই সময় থাকি।”

তবে পবন সিং-এর বক্তব্য, “বাবা বাবার মতো কাজ করছেন, আমি আমার মতো কাজ করছি। রাজনীতি থেকে আলাদা একটি ভাবাদর্শ থাকে প্রত্যেক মানুষের। আমারও একটি ভাবাদর্শ আছে। আমি শুরু থেকে বলছি, আমি রাজনীতিতে এসেছি সামাজিক কাজ করার জন্য। রাজনীতি করার জন্য নয়। রাজনীতি করার জন্য অনেক রাজনীতিক আছেন। আমি শুধু রাজনীতির জন্য রাজনীতি নয়, মানুষের জন্য রাজনীতি করছি।” তিনি কি আগামী দিনে দলবদলের পরিকল্পনা করছেন? প্রশ্নের জবাবে অর্জুন পুত্র বলেন, “যে দল আমাকে এত সম্মান দিয়েছে, পদ দিয়েছে, যে মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে, এত গুরুত্বপূর্ণ পদ রয়েছে… আমি যদি একটি দলের প্রতি সৎ না থাকি, তাহলে কী গ্যারান্টি আছে আমি অন্য দলে গিয়ে সৎ থাকব?”

পাশাপাশি অর্জুন সিং-এর বিষয়ে তিনি বলেন, “বাবা অনেক বর্ষীয়ান মানুষ। তাঁর দায়িত্ব আমার থেকে অনেক বেশি। বাবার চিন্তাভাবনা আর আমার চিন্তাভাবনা আলাদা। বয়স, জেনারেশন… বাবার সঙ্গে আমার তুলনা করা ঠিক নয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours