গত ১৩ অক্টোবর আলিপুরদুয়ারে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই দিন বাড়িতে একাই ছিলেন মহিলা।



: সিপিএম (CPIM) কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণে চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল (TMC) বুথ সভাপতির ছেলের বিরুদ্ধে। ফাঁকা বাড়িতে মহিলার একা থাকার সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের তরফে একদিকে যেমন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঠিক তেমনই অভিযুক্তের তরফেও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে।



গত ১৩ অক্টোবর আলিপুরদুয়ারে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই দিন বাড়িতে একাই ছিলেন মহিলা। স্বামী গিয়েছিলেন কাজে। ওই মহিলার পরিবারের দাবি, সেই সুযোগই নেয় অভিযুক্ত যুবক। বাড়িতে এসে মহিলার কাছে পান খেতে চায় সে। এবার মহিলা পান আনতে ভিতরে যেতেই অভিযোগ, ওই যুবক ঘরে ঢুকে পড়ে। এবং মহিলা ধর্ষণের চেষ্টা করে। সে সময় মহিলার স্বামী বাড়িতে চলে আসায় পালিয়ে যায় যুবক। পরবর্তীতে এই ঘটনার কথা জানিয়ে কুমারগ্রাম থানার বারবিশা ফাঁড়িতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা।

নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, যেহেতু ওই যুবক নিজে একজন তৃণমূল কর্মী, তার বাবা ওই বুথের সভাপতি সেই কারণে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন। কারণ বিভিন্ন সময় অভিযুক্ত যুবক এলাকায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে চলে। এই বিষয়ে নির্যাতিতা মহিলা বলেন, ‘আমার স্বামী ঘরে ছিলেন না। তখন ওই ছেলেটি পান খেতে ঘরে আসে। পান দিতে যেতেই আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি।’ মহিলার শ্বশুর বলেন, ‘আমি এসে ছেলের কাছ থেকে গোটা ঘটনা শুনি। এরপর বৌমাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে আসা হয়।’

অভিযুক্ত যুবকের বাবা বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। আমি কাজে গিয়েছিলাম। এসে শুনেছি। আমার ছেলে পান খেতে গিয়েছিল। ওকে ফাঁসানো হয়েছে চক্রান্ত করে।’ এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ারের চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘অভিযোগ তো হতেই পারে। প্রমাণ হলে সাজা পাবে। তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলে বলে বেআইনি কাজ করবে তা তো হতে পারে না। সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে।’

এ দিকে, নির্যাতিতার পরিবারের পাশাপাশি অভিযুক্তের তরফেও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। দায়ের করা সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৩ অক্টোবর রাত ১২টা নাগাদ ওই যুবকের বাড়িতে তিনজন ভাঙচুর চালায়। এবং তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই যুবক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।


গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে পাশাপাশি অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করার চেষ্টাও চলছে। অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপি জেলা সম্পাদক বিপ্লব দাস বলেন, “মাননীয়ার সরকার চলাকালীন এটা নজিরবিহীন বিষয় নয়। সব জায়গায় ঘটছে। ওরা গরীব মানুষ সেই কারণে ওদের উপর এইভাবে অত্যাচার করছে। প্রশাসন ব্যাবস্থা না নিলে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours