একইসঙ্গে এই মৃত হাতি উদ্ধার আবারও সামনে এনেছে চাষের জমি বেআইনিভাবে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ঘিরে ফসলের ক্ষতি রোখার মরণ প্রয়াসকে। কারণ শুধু হাতি নয়, এই তারের বলি হয়েছে রক্তমাংসের মানুষও।


রহস্যের মোড়ক যেন ক্রমশ পুরু হচ্ছে। একের পর এক হাতির রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঝাড়গ্রামের বনকর্তাদের কপালে কার্যত চওড়া ভাঁজ ফেলেছে। সোমবার সাতসকালে ফের একটি পূর্ণবয়স্ক মৃত হাতি উদ্ধার ‘হাতি মৃত্যুররহস্য’কে আরও ঘনীভূত করেছে। একইসঙ্গে এই মৃত হাতি উদ্ধার আবারও সামনে এনেছে চাষের জমি বেআইনিভাবে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ঘিরে ফসলের ক্ষতি রোখার মরণ প্রয়াসকে। কারণ শুধু হাতি নয়, এই তারের বলি হয়েছে রক্তমাংসের মানুষও।


ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের বড়খাঁকড়ি বিরিবেড়িয়ার সকাল। সদ্য ঘুম ভাঙা গ্রামের কিছু বাসিন্দা আবিষ্কার করলেন পাশের জঙ্গল লাগোয়া কৃষিজমিতে পড়ে থাকা মৃত হাতিটিকে। ঝড়ের গতিতে খবরটা ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে মৃত হাতিকে দেখার জন্য।

এ দিকে, ততক্ষণে খবর গিয়েছে বন দফতরের কাছে। তারা ঘটনাস্থলে এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কীভাবে ওই হাতিটির মৃত্যু হল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন বনকর্তারা।

তবে ঝাড়গ্রামে হাতির রহস্য মৃত্যু এই প্রথম নয়। তথ্য ঘাঁটলে গত বেশ কয়েক মাসে একাধিক এরকম রহস্যমৃত্যুর ঘটনা উঠে আসবে সামনে। একইসঙ্গে উঠে আসবে কৃষিজমিকে রক্ষা করতে বেআইনিভাবে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ঘিরে দেওয়ার তথ্যও। আপাতত এই পদ্ধতি ‘সর্বনাশের খুঁটি’ হয়ে উঠছে জঙ্গলমহলে। চাষের জমিতে খাবারের খোঁজে ঢুকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই তালিকায় শুধুমাত্র হাতি নয়, রয়েছে মানুষের মৃত্যুও। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে, তবে এই মৃত্যুর ঘটনাও কি একইভাবে? যদিও গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, হাতিটি বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ অবস্থায় ঘোরাঘুরি করছিল। ফলে স্বাভাবিক নিয়মে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে তার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours