কুণাল ঘোষ এদিন তাপস রায়কে পাশে বসিয়ে বলেন, "তাপস রায়ের সঙ্গে আমার দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে। একপর্ব বিজয়া হয়েছে, তবে বৌদির সঙ্গে বিজয়া করা হয়নি। সেই কারণে এসেছিলাম।"


বিজেপির উত্তর কলকাতার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তমোঘ্ন ঘোষ। তিনি আবার তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সহকারী তপন ঘোষের পুত্র। আর এই নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “সুদীপই বিজেপিতে পাঠিয়েছে, সুদীপই ফিরিয়ে নেবে।” তাপস রায় আবার বলেছিলেন, “খোঁজ নিন তমোঘ্নদের বাড়ির অষ্টমী পুজোয় শুভেন্দু আর সুদীপ দু’জনেই গিয়েছিলেন।” গতকালের এই মন্তব্যের পর বুধবার তাপস রায়ের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর এই নিয়েই জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে।

যদিও কুণাল ঘোষ এদিন তাপস রায়কে পাশে বসিয়ে বলেন, “তাপস রায়ের সঙ্গে আমার দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে। একপর্ব বিজয়া হয়েছে, তবে বৌদির সঙ্গে বিজয়া করা হয়নি। সেই কারণে এসেছিলাম।” তাঁদের মধ্যে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, “তিনি আমাদের সিনিয়র নেতা। দেখা হলে রাজনীতি নিয়ে তো কথা হতেই পারে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসে কোনও সমস্যা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে তৃণমূল কংগ্রেস এক পরিবার। এখানে কোনও সমস্যা নেই।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার তাপস রায় ‘ডেডিকেটেড লয়ালিস্ট’ আর ‘ডিভাইডেড লয়ালিস্ট’ – দুই ভাগের কথা বলেছিলেন। সেই বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘোষ বলেন, “তাপসদা একজন বর্ষীয়ান নেতা। কোনও বিষয়ে তাঁর বিশ্লেষণ বা মূল্যায়ন প্রকাশ পেতে পারে। তার মানে এই নয় যে দলের মধ্যে কোনও বিষয় আছে। আমাদের মূল বক্তব্য হল, বিজেপির তো থুতু ফেলে ডুবে মরা উচিত। উত্তর কলকাতার মতো জেলায় তৃণমূলের ঘরের ছেলেকে সভাপতি করতে হয়, এটা তো বিজেপির সমস্যা। আদি বিজেপিরা ভেবে দেখুক, যাঁরা তৃণমূলে থাকতে জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতিও হয়নি, তাঁদের বিজেপি সভাপতি করছে। কিন্তু আদি বিজেপি নেতাদের এই দলবদলুদের নিয়ে চলতে হবে?” তমোঘ্নর বাড়ির পুজোয় অষ্টমীতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের যাওয়া প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেন, “পুজোর বাতাবরণ তো… সামাজিক ব্যাপার দেখা হচ্ছে। সব খবর সংগ্রহ করা হচ্ছে।”


কুণাল ঘোষ যখন এই কথাগুলি বলছিলেন, তখন তাঁর পাশেই বসে ছিলেন তাপস রায়। তিনি অবশ্য এদিন স্পষ্ট করে দেন, তিনি নিজের গতকালের বক্তব্যেই স্থির থাকছেন। তিনি বলেন, “বিজেপির দৈন্যদশা অবশ্যই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আমাদের নেতা, আমাদের লাখ লাখ কর্মী। বিজেপি যেন খোয়াব না দেখে৷” বলেন, “এককথা বার বার কি বলা উচিত? আমি গতকাল যা বলেছি, তা তো বলেছি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours