কার্নিভালে মজেছে কলকাতা (Durga Puja Carnival)। নাচে, গানে, উৎসবে মাকে শেষ বিদায় জানানোর বিষাদ ঢেকেছে আলোর রোশনাই, আনন্দ উৎসবে। একে একে ৯৫টি পুজো কমিটি তাঁদের সুসজ্জিত ট্যাবলো নিয়ে এগিয়ে চলে রেড রোড ধরে। উৎসবের ধরণীর চেহারা নেওয়া- রেড রোডে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকেও পাওয়া গেল ভিন্ন মুডে। কখনও কাঁসর বাজালেন, কখনও ঢাক বাজালেন, কখনও আবার আদিবাসী নাচে মেতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।

কার্নিভালে উৎসবের চেহারা

পুজো শেষ। উৎসবের রেশ জিইয়ে রেখে রেড রোডে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুজো কার্নিভাল। বাংলার দুর্গাদুর্গাপুজো" href="https://bengali.abplive.com/topic/durga-puja" data-type="interlinkingkeywords">পুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর এটাই প্রথম পুজো কার্নিভাল। তাই আয়োজনও আগের বছরগুলোর থেকে কিছুটা আলাদা। এবছর রেড রোডের কার্নিভালে অংশ নেয় ৯৫টি পুজো। এক-একটি পুজো কমিটির জন্য বরাদ্দ ৩ মিনিট সময়। পুজো কমিটি পিছু সর্বাধিক ৫০ জন করে থাকবেন। প্রত্যেক পুজো কমিটি সর্বাধিক ৩টি ট্যাবলো নিয়ে কার্নিভালে যোগ দিতে পারবে। 

পুজো কার্নিভাল উপলক্ষ্যে সেজে ওঠে রেড রোড চত্বর। ছিল বড় LED স্ক্রিন। মুখ্যমন্ত্রীর বসার মঞ্চটি মন্দিরের আদলে তৈরি করা। এবার কার্নিভালে বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন, তাই রেড রোড চত্বরে কড়া নিরাপত্তা। ছিল পুলিশ কন্ট্রোল টাওয়ার। কার্নিভালে এবার অংশ নেয় ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের স্কুল দীক্ষামঞ্জরীর ছাত্রীরা। কার্নিভালে দেখা যায় সৌরভের পাড়ার ক্লাব বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারের প্রতিমাও। বিভিন্ন প্রতিমার সঙ্গে অংশ নেন বহু চেনা শিল্পীরাও।


ভাঙে নিয়মের বেড়াজাল

একসঙ্গে অনেকগুলো পুজো কমিটি থাকায় প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ থাকলেও মাঝেমধ্যেই তা ভাঙে। নাচে-গানে রেড রোড মাতিয়ে তোলা শিল্পীদের উৎসাহ দিতে দেখা যায় অতিথিদের। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মঞ্চ ছেড়ে নেমে এসে কাঁসর বাজাতে শুরু করেন। আবার কখনও ঢাকও বাজান। আদিবাসীদের সঙ্গে নাচেও মেতে ওঠেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে এত কাছ থেকে পেয়ে আপ্লপত হয়ে পড়েন শিল্পীরাও। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন অনেকে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপের বেড়াজাল কেটে কয়েক মুহূর্তের জন্য উৎসবের অন্য চেহারা ধরা পড়ে রেড রোডে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours