বাড়ির সদস্যরা জানাচ্ছেন, রাতেই ছেলের নম্বর থেকে একটি ফোন যায় তাঁর বাবার কাছে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ফোন করা হয়।


বাড়িতে জানিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করতে যাচ্ছেন। বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাতে তারই নম্বর থেকে বাড়িতে যায় ফোন। চাওয়া হয় ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ। আর সকালেই উদ্ধার গলার নলি কাটা দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ইলামবাজারে। এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে ওই যুবক। মৃত ছাত্রেরং নাম সৈয়দ সালাউদ্দিন (২১)। বীরভূমের ইলামবাজার থানার চৌপাহারি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।



জানা যাচ্ছে, ওই ছাত্রের বাড়ি বীরভূমের খয়রাশোল থানার আহমদপুর গ্রামে। পরিবারের দাবি, ছাত্রটি আসানসোলে একটি কলেজে পড়াশুনা করতেন। শনিবার সকালেই বাড়িতে ফোন করে জানান, বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করতে যাচ্ছেন তিনি। এমনটাই দাবি পরিবারের।

বাড়ির সদস্যরা জানাচ্ছেন, রাতেই ছেলের নম্বর থেকে একটি ফোন যায় তাঁর বাবার কাছে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ফোন করা হয়। তাঁর বাবার কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ফোনে জানানো হয়। ছাড়াতে হলে ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোন কেটে দেওয়া হয়।

পরিবারের সদস্যরা এরপর রাতে মল্লারপুর থানায় যোগাযোগ করেন। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিশের তরফে এলাকায় খোঁজ করা হয়। ইলামবাজার থানার চৌপাহারি জঙ্গল থেকে এক ছাত্রের দেহ পড়তে থাকতে দেখা যায়। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে দেহটি গিয়ে শণাক্ত করা হয়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে সলমান বলে এক জনকে আটক করে। পরে তার কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সলমান নিহত যুবকের বন্ধু বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত। টাকার জন্যই খুন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours