নীতীশ কুমার অস্বীকার করলেও, জেডিইউয়ের তরফে শনিবার যে প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছিল, তাতে কিন্তু নীতীশ কুমারের বিরোধীদের একজোট করা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপির আসনসংখ্যা ৫০-এ কমে দাঁড়াবে, এই কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।


ঘনঘন জোট বদলানোয় এমনিতেই বিরোধীরা তাঁকে কটাক্ষ করে ‘পাল্টি কুমার’ বলেন। এবার রাতারাতি নিজের বয়ানও বদল করে দিলেন নীতীশ কুমার। রবিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিজের বয়ান থেকেই ইউ-টার্ন নিয়ে দাবি করলেন, বিজেপির আসন সংখ্যা নিয়ে তিনি কোনও কথাই বলেননি। এদিকে, শনিবারই তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, “যদি বিরোধীরা একজোট হয়, তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসনসংখ্যা কমে ৫০-এ দাঁড়াবে।”



বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙার পর থেকেই একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শনিবার জেডিইউয়ের রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক শেষেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নীতীশ কুমার। তিনি বলেন, “বিরোধীরা যদি একজোট হন, তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল বদল হয়ে যাবে। বিজেপির আসন সংখ্যা কমে ৫০-এ দাঁড়াবে। বিরোধীদের একজোট করার লক্ষ্যেই আমি কাজ করছি।”

কিন্তু রবিবারই তিনি ভোলবদলে জাতীয় কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকের পর বলেন,”বিরোধীরা যাতে একজোট হয় এবং সাফল্য অর্জন করে, সেই লক্ষ্যেই আমি কাজ করছি। আমি কখনও নম্বর নিয়ে কথা বলিনি।”

এদিকে, নীতীশ কুমার অস্বীকার করলেও, জেডিইউয়ের তরফে শনিবার যে প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছিল, তাতে কিন্তু নীতীশ কুমারের বিরোধীদের একজোট করা এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপির আসনসংখ্যা ৫০-এ কমে দাঁড়াবে, এই কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। জেডিইউয়ের কার্যনির্বাহী বৈঠকে পাশ করা প্রস্তাবনাতেও বিজেপিকে দুষেই বিরোধীদের একজোট করার কথা বলা হয়েছে। যে দুটি প্রস্তাবনা পাশ করানো হয়েছে, তার প্রথমটিতে বলা হয়েছে, বিরোধীদের একজোট করার লক্ষ্যে কাজ করবেন নীতীশ কুমার। অপর প্রস্তাবনায় বলা হয়, বিজেপির শাসনে অঘোষিত জরুরি অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ, এর থেকে দেশবাসীদের মুক্তি দিতে হবে।

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার লক্ষ্যেই আজ দিল্লি সফরে যাচ্ছেন নীতীশ কুমার। সেখানে একাধিক বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলেই জল্পনা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours