আবার প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি। মশাবাহিত রোগে মৃত্যু হল, উত্তরপাড়ার বাসিন্দা, ৩৭ বছরের যুবকের। শোকে স্তব্ধ পরিবার। হুগলিতে হুহু করে বাড়ছে ডেঙ্গি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চলতি বছরে, হুগলিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫০জন।

আবার প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি: আবার মৃত্যু, আবার স্বজন হারানোর যন্ত্রণা। ডেঙ্গিতে ফের অকালে ঝরে গেল এক তরতাজা প্রাণ। মৃত্যু হল উত্তরপাড়ার ডেঙ্গি আক্রান্ত যুবকের। মৃতের নাম সন্দীপকুমার মুখোপাধ্যায়। বাড়ি হুগলির উত্তরপাড়ার শিবনারায়ণ স্ট্রিটে। বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন তিনি। পরিবারে, বাবা, মা, স্ত্রী ও ১০ বছরের এক মেয়ে আছে সন্দীপের। পরিবার সূত্রে খবর, গত শুক্রবার, অর্থাত্‍ ২৬ অগাস্ট থেকে জ্বরে ভুগছিলেন সন্দীপ। বাড়িতেই পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় উত্তরপাড়ার মহামায়া হাসপাতালে। সেখানেই, টেস্টে ধরা পড়ে, তিনি ডেঙ্গি আক্রান্ত।

এক সপ্তাহ ধরে চলে যমে মানুষে টানাটানি, শুক্রবার সেই যুদ্ধ শেষ। জীবনের কাছে হেরে গেলেন, বছর ৩৭-এর সন্দীপ। মৃতের বাবা উজ্জ্বলকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “এক সপ্তাহ আগে বাড়িতে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরে যায় সন্দীপ।দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করি।কোনভাবেই তার জ্ঞান ফিরছিল না এদিকে নার্সিংহোমের বিল উঠে যায়।রক্ত পরীক্ষায় জানতে পারি তার ডেঙ্গু হয়েছে তার আগে আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি।’’ হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া বলেন, “ডেঙ্গিতে মৃত্যু তো হওয়ার কথা না। প্রচুর কোমর্বিডিটি রয়েছে। পেশেন্ট অনেকগুলো জায়গায় মুভ করেছে। রোগীর কী সিচুয়েশন হয়েছে দেখছি। যেদিন জ্বর হয়েছে, ৫ দিনের মধ্যে বেশি হলে টেস্ট করিয়ে নিতে হয়। তাহলে বোঝা যাবে ডেঙ্গি হয়েছে কি না।  

এ বছর হুগলি জেলায় হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি বছর এখনও হুগলিতে পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫০। তার মধ্যে, শহরাঞ্চলে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৭১, গ্রামীণ এলাকায় ৭৮। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, হুগলির উত্তরপাড়া, রিষড়া, শ্রীরামপুর, চন্দননগর পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা সবথেকে বেশি। শুক্রবার, উত্তরপাড়া পুরসভার তরফে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশা মারার তেল স্প্রে করা হয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours