বাগুইআটি-কাণ্ডের ছায়া এবার বীরভূমে (birbhum)। ইলামবাজারের জঙ্গল থেকে উদ্ধার নিখোঁজ (missing) ইঞ্জিনিয়ারিং (engineering) পড়ুয়ার (student) ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ (body) । ঘটনায় আটক পড়ুয়ার বন্ধু শেখ সলমন। 

কী হয়েছিল?
পরিবারের অভিযোগ, গত কাল বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন আসানসোলের পলিটেকনিক কলেজের চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়া সৈয়দ সালাউদ্দিন ওরফে জয়। রাত ১২টা নাগাদ ছাত্রের মোবাইল ফোন থেকেই বাবাকে ফোন করে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে প্রথম ফোন আসে। মুক্তিপণের অঙ্ক নিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আসার কথা বলা হয়েছিল জয়ের বাবাকে, অভিযোগ এমনই। পুলিশকে জানালে ছেলেকে ফিরে পাওয়া যাবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয়। মিনিট দশেকের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার ফোনে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। এরপরই তদন্তে নামে মল্লারপুর থানার পুলিশ। টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ইলামবাজার থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার বন্ধু শেখ সলমনকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ইলামবাজারের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রের মৃতদেহ। গলা কাটা অবস্থায় উনিশ বছরের তরুণের দেহ মিলেছে বলে খবর। যেখানে দেহ মিলেছে তার থেকে ১০০ মিটার দূরে জঙ্গলের ভিতর থেকে নিহতের মোটরবাইক উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল, বিরিয়ানির প্যাকেট, চিপসের প্যাকেট। প্রসঙ্গত, কার্যত এক রকম নৃশংসতায় হালেই বাগুইআটির দুই পড়ুয়াকেও খুন করার অভিযোগ ওঠে।

বাগুইআটি-তে জোড়া খুন...
অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। বাগুইআটির বাসিন্দা দুই কিশোর পড়ুয়ার নির্মম পরিণতি হালেই তোলপাড় ফেলেছে গোটা রাজ্যে। দুজনের পরিবারেরই অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাদের। তবে তার আগে অপহরণ করা হয়েছিল অতনু ও অভিষেককে। মুক্তিপণ চেয়ে হুমকিও দেওয়া হত দুজনের অভিভাবকদের। বিষয়টি পুলিশে জানালেও সময় থাকতে তাতে বিশেষ আমল দেওয়া হয়নি, এমনও শোনা গিয়েছে। শেষে যখন পুলিশ তৎপর হল, তত ক্ষণে সব শেষ। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে কয়েক দিন আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, জেরার সে জানিয়েছে, অতনুর থেকে নেওয়া বাইক কেনার ৫০ হাজার টাকা ফেরত চাওয়াতেই খুনের ছক কষেছিল সত্যেন্দ্র। অভিষেক সঙ্গে থাকায় তাকেও খুন করা হয়। যদিও এই মোটিভ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে তদন্তকারীদের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours