অভিযোগ, গৌতম মজুমদার ও তাঁর ছেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।



চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে, তাও আবার সরকারি দফতরে। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই টাকা চাওয়া হয়েছিল, বেশ কয়েকজন যুবকদের কাছ থেকে। তারপর চাকরি দেওয়া তো দূরের কথা, টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। এমনকি খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বেশ কিছুদিন পর এই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হন এক যুবক। সেই ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে। মোট ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

খাদ্য দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার এই অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়।

কাটোয়া শহরের ১৫ জন বেকার যুবকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে নদিয়ার কল্যাণী থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম গৌতম মজুমদার। বুধবার তাকে কাটোয়া মহকুমা এসিজেএম আদালতে তোলা হলে, বিচারক তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কাটোয়া শহরের ঘোষেশ্বর তলা এলাকার বাসিন্দা এক যুবক সুমন্ত দাস কাটোয়া থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে বলা হয়েছিল গৌতম মজুমদার ও তাঁর ছেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

পুলিশ জানতে পেরেছে, কাটোয়া শহরের পানুহাটের এক বন্ধুর সূত্রে নদিয়ার কল্যাণী এলাকার গৌতম মজুমদারের সঙ্গে আলাপ হয় ওই যুবকের। চাকরি পাওয়ার আশায় কয়েকজন বন্ধু মিলে নদিয়ার কল্যাণী সীমান্ততলার বাসিন্দা গৌতম মজুমদারের অফিসে যান। সেখানে বসেই সকলকে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

তারপর ধাপে ধাপে কাটোয়া শহরের ১৫ জন যুবকের কাছ থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ও নগদ হিসেবে টাকা নেয় ধৃত ব্যক্তি। কারও কাছ ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা, কারও কাছ থেকে ৯৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার কারও কাছ থেকে ২০ বা ৪০ হাজার টাকা করেও আদায় করেন ধৃত ব্যক্তি। অভিযোগ, চাকরি না পেয়ে সকলে টাকা ফেরৎ চাইলে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন ওই ব্যক্তি। খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন অভিযোগকারী।


তদন্তে নেমে ধৃত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পায় পুলিশ। সেখানে টাকা লেনদেনের সন্ধান পাওয়া যায়। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours