অর্থ সঞ্চয়ের জন্য বর্তমান সময়ে অনেকেই পোস্ট অফিসের ওপর আস্থা রাখেন।


ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সঞ্চয় করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কারণ বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে মানুষের কর্মক্ষমতা। সেই কারণে সঞ্চয়ের জন্য অনেকেই ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে সঞ্চয়ের পাশপাশি জীবন বিমা, ফিক্সড ডিপোজিট অথবা রেকারিং ডিপোজিটের মাধ্যমেও সঞ্চয় করেন। অর্থ সঞ্চয়ের জন্য বর্তমান সময়ে অনেকেই পোস্ট অফিসের ওপর আস্থা রাখেন। কারণ পোস্ট অফিসে টাকা সঞ্চয়ের ওপর সুদের হার অনেক ব্যাঙ্কের তুলনায় বেশি। অতিরিক্ত সুদের হারের কারণে অনেকেই এখন রেকারিং ডিপোজিটের ওপর অনেক বেশি আস্থা রাখেন। রেকারিং ডিপোজিটে প্রত্যেক মাসে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা করতে হয়। ৬ মাস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য এইর মাধ্যমে আপনি সঞ্চয় করতে পারেন। তবে প্রত্যেক মাসে কিস্তির টাকার অঙ্ক আপনি কোনওভাবেই বদলাতে পারবেন না। দেশের সেরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও পোস্ট অফিসের মধ্য রেকারিং ডিপোজিটে কোথায় সুদের হার বেশি, অন্যান্য সুযোগ সুবিধাই বা কী, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক…

স্টেট ব্যাঙ্কে রেকারিং ডিপোজিট

কোনও এক স্টেট ব্যাঙ্কে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে রেকারিং ডিপোজিট করতে পারেন। ১২ মাস থেকে ১২০ মাসের জন্য এই বিনিয়োগ করা যেতে পারে। রেকারিং ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সাধারণ গ্রাহকদের স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ৫.৪৫ থেকে ৫.৬০ শতাংশ সুদ দিয়ে থাকে। প্রবীণ নাগরিকদের রেকারিং ডিপোজিটে ৫.৯৫ শতাংশ থেকে ৬.৪৫ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়ে থাকে। কোনও ব্যক্তি যদি মাসিক ১০ হাজার টাকা করে ৫ বছরের জন্য পোস্ট স্টেট ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ করে থাকেন, তবে মেয়াদ শেষে তিনি ৬.৯৩ লক্ষ টাকা পাবেন। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক হবে ৭.০২ লক্ষ টাকা।

পোস্ট অফিসে রেকারিং ডিপোজিট

পোস্ট অফিসে রেকারিং ডিপোজিটে সুদের হার ৫.৮ শতাংশ। পোস্ট অফিসে রেকারিং ডিপোজিটে ম্যাচুরিটির সময়সীমা ৫ বছর। পোস্ট অফিসে মাসে ১০ টাকা থেকে রেকারিং অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। যা পরবর্তীকালে বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ত্রৈমাসিক হারে পোস্ট অফিসে ৫.৮ শতাংশ সুদের হার পাওয়া যাবে। যদি কোনও ব্যক্তি মাসে ১০ হাজার টাকা করে পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করেন তবে ৫ বছর পর তিনি ৬.৯৬ লক্ষ টাকা পাবেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours