গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondl) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নোটিস ধরাল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সুকন্যার ব্যবসা ও তাঁর কোম্পানি সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও এই নথি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুকন্যা মণ্ডল তা সিবিআইকে জমা দেননি বলে সূত্রের দাবি। এই প্রেক্ষিতে আজ সকালে সুকন্যাকে নোটিস দেওয়া হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, সুকন্যার ব্যবসায় টাকার উত্‍স কী, তা জানার জন্যই নথি চাওয়া হয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বোলপুরের ক্যাম্প অফিস থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআইয়ের একটি টিম। সেখান থেকে সোজা নীচুপট্টি এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে তারা নোটিস দেয়। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত-কন্যাকে সিআরপিসি ৯১ ধারায় নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে সমস্ত নথি চাওয়া হয়েছে।

কী নথি চাওয়া হয়েছে ?

সিবিআই সূত্রের খবর, সুকন্যা মণ্ডলের যে ব্যবসা, সেই ব্যবসা সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়েছে। ক'টা কোম্পানি রয়েছে এবং ইনকাম ট্যাক্সের নথি দিতে বলা হয়। এর আগেও সুকন্যার কাছে নথি চাওয়া হয়েছিল। তিনি তা নেওয়া দেওয়ায় আজ ফের নোটিস ধরানো হয় বলে সিবিআই সূত্রের খবর। 


এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির এক পরিচারককে আজ সিবিআইয়ের বোলপুর ক্যাম্প অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে তাঁর। একাধিক পরিচারকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা নয়ছয় করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করছে সিবিআই।  

প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। CBI সূত্রে খবর, অনুব্রত’র মেয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁর নামে-বেমানে কত সম্পত্তি রয়েছে? রাইস মিল কেনার জন্য যে আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন কিনা? সুকন্যার নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রচুর নগদ অর্থ জমা পড়েছে, সেই টাকার উত্‍স কী? 

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সিবিআই সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরেই অনুব্রত কন্যা দাবি করেছেন, যা জানার তা জানেন হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। আর এর বাইরে একাধিক প্রশ্নের উত্তরই হ্যাঁ, কিংবা না’এ দেন অনুব্রত কন্যা।

এর আগে শুক্রবারই বোলপুরের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours