চারদিনের সফরে দিল্লি গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের ফ্ল্যাট থেকে যে ভাবে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাতে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকল দল। সেই আবহেই দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বিকেলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর একান্ত বৈঠক হওয়ার কথা। আর তার আগেই ‘সেটিং’ তত্ত্ব দিচ্ছেন বিরোধীরা। সিপিএম ও বিজেপির দাবি, টালমাটাল পরিস্থিতি সামাল দিতেই মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বলছেন মমতা। যদিও সেই তত্ত্বকে কোনও ভাবেই গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক শিবির। তৃণমূল নেতাদের দাবি, নিছকই প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে কথা হবে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটের মোদী-মমতা বৈঠক হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেই হবে সেই বৈঠক। সূত্রের খবর, রাজ্যের যে সব দাবি-দাওয়া রয়েছে, সেগুলি নিয়েই কথা বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে মমতার এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর দেশের নয়া রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও একান্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘এটা হল ন্যাশনাল সেটিং ডে। অনেকটা ম্যাচ ফিক্সিং-এর মতো। যখন সিবিআই-এর হাত থেকে ভাইপোকে বের করার দরকার ছিল, তখনও আমরা দেখেছি কী ভাবে সেটিং হয়েছে।’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও দাবি করেছেন, সাহায্য চাইতেই যাচ্ছেন মমতা। তবে বিরোধীরা কী বলছেন, তাতে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়।

সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিরোধীদের তো কোনও একটা কথা বলতে হবে! আমি বিরোধী দলগুলোকে একটাই কথা বলি, এতকিছুর মধ্যেও আসানসোল লোকসভায় ৩ লক্ষের বেশি ভোটে হেরেছেন, ৬ মাস অন্তত মুখে কুলুপ এঁটে থাকুন।’ তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনা সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনিক। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়েও মমতা কথা বলবেন বলে দাবি করেছেন সুদীপ।

বৃহস্পতিবার দিল্লি পৌঁছেই তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের বাড়িতে সেই চা চক্রে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সংসদে তৃণমূল কোন কৌশল নেবে, তা নিয়ে নেত্রী আলোচনা করেছেন বলে সূত্রের খবর। সুখেন্দু শেখর রায় জনিয়েছেন, মূলত সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন উপস্থিত নেতারা।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours