এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত ভাবে জানা গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন পর পর তীব্র শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। আবার সিআইএসএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০ থেকে ২৫ রাউন্ড গুলি চলেছে। কিন্তু পার্ক স্ট্রিটে (Park Street Shootout) জাদুঘরে সিআইএসএফ ব্যারাকে (CISF) হামলার ভয়াবহতা টের পাওয়া যাচ্ছে হামলার মুখে পড়া পুলিশের গাড়ি দেখেই। হামলাকারীর ছোড়া গুলিতে গাড়িটি কার্যত এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গিয়েছে। সামনের দিকের কাচে গর্ত রয়ে গিয়েছে। পিছনের দিকের কাচও ভেঙে চুরমার। গাড়ির ভিতরের আসনে রক্তের দাগ স্পষ্ট। ওই গাড়ি লক্ষ্য করেও হামলাকারী গুলি ছোড়েন বলে খবর। তাতে গাড়ির চালক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত ভাবে জানা গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। 

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটির নম্বর WB057994। এসএসকেএম হাসপাতালে আহতদের কয়েক জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই এই মুহূর্তে রয়েছে গাড়িটি। হামলার পর গাড়িটির যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে দেখলে বোঝা যায়, কাচ ভেদ করে গুলি ঢুকে গিয়েছে গাড়িতে। গাড়ির আসন মুড়ে রাখা হয়েছিল যে তোয়ালেতে, সেটিতে চাপ চাপ রক্তের দাগ রয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় যে গাড়ি থেকে বার করা হয়েছে কাউকে, তা বোঝা যায় পিছনের দরজায় লাগা রক্তের দাগ দেখে। পিছনের কাচও ভেঙে চুরমার। কলকাতাত শহরে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে এমন হামলা আগে কখনও হয়নি। 

আহতরা এখন কেমন রয়েছেন, তা নিয়ে নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। সিআইএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন হেড কনস্টেবল এবং অন্যজন এএসআই পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের ওই গাড়িতেই হাসপাতালে আনা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। 

ভারতীয় জাদুঘরের নিরাপত্তার জন্যই সিআইএসএফ-এর ওই ব্য়ারাক। সেই সিআইএসএফ-এর অন্দরেই এমন হামলার ঘটনায় শিউড়ে উঠছেন শহরবাসী। ভরসন্ধেয় ঘটনাক্রম কেমন এমন আকার ধারণা করল, কন পরিস্থিতিতে তিনি গুলি চালালেন, রক্ষাকারীদের হাতে থাকা অস্ত্রই যদি বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়, উঠছে প্রশ্ন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours