যত সময় এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে উদ্ধার হওয়া সম্পদের পরিমাণ! পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা এবং গহনার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অন্তত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate/ED) সূত্রে এমনই তথ্য সামনে আসছে। বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন হাইটস-এ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে আক্ষরিক অর্থেই ‘সোনার খনি’র খোঁজ মিলেছে বলে দাবি সামনে আসছে। 

বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হদিশ মিলল ‘সোনার খনি’র!

 ইডি সূত্রে দাবি, অর্পিতার বেলঘরিয়ার ওই ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে ৯টি সোনার নেকলেস, ইংরেজি হরফে A লেখা একটি সোনার লকেট, ১১টি সোনার কঙ্কন, ১৮ জোড়া কানের দুল, ৫টি আংটি, ৭টি সোনার হার, সোনার পেন, সোনার বার-সহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী। উদ্ধার হওয়া এই সোনার সামগ্রিক মূল্য ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।

এত সোনার অলঙ্কার কেনার টাকা কোথা থেকে এল? কতদিন ধরে কেনা হয়েছে এই সব সোনার অলঙ্কার, এ সবই তদন্তে খতিয়ে দেখছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। ইডি হেফাজতে লাগাতার অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। 

অন্য দিকে, ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই ২০১২ সাল থেকে অর্পিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল পার্থর। আর্থিক লেনদেনও ছিল দু’জনের মধ্যে। দু’জনের একটি পার্টনারশিপ সংস্থার তথ্যও সামনে এনেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, ২০১২ সালের ১ নভেম্বর খোলা হয়েছিল মেসার্স অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস। তাতে সমান সমান (৫০:৫০) অংশিদারিত্ব ছিল পার্থ এবং অর্পিতার।

পার্থ-অর্পিতার ঘনিষ্ঠতা প্রায় এক দশক ধরে!

ইডি সূত্রে খবর, ওই সংস্থার দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিষয়টি অর্পিতা জানান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসারদের। তারপর ইডি-র আধিকারিকরা সেই দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। পার্থ-অর্পিতার ওই সংস্থা গত ন’বছরে কী কী কাজ করেছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours