এবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল , সায়গল হোসেনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু ইডি-র। সূত্রের খবর, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজত নিতে আবেদন করেছে ইডি। 

এবার গরু পাচার মামলায় (cow smuggling) অনুব্রত মণ্ডল(anubrata mondal), সায়গল হোসেনের (saigal hossein) ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু ইডি-র (ED)। সূত্রের খবর, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজত নিতে আবেদন করেছে ইডি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানিয়েছে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, আসানসোল জেল থেকে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেকট। গরু পাচারের টাকা কোথায় গেল, তারই হদিশ পেতে চাইছে ইডি।

কী জানা গেল?
সিবিআইয়ের পর ইডিও যে গরু পাচার মামলার তদন্ত শুরু করতে চলেছে, সে রকম অনুমান ছিলই। সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ে গেল। গত কালই সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিতে চেয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রে খবর, এর মধ্যেই সিবিআইয়ের কাছ থেকে সব রকম তথ্য় ও নথি সংগ্রহ করেছে ইডি। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গরু পাচারের থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচারকারীদের থেকে সায়গল হোসেনের মাধ্যমে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই টাকা গেল কোথায়? তা হলে কি কোনও সম্পত্তি তৈরি করা হয়েছিল? বার বার যে বেনামি সম্পত্তির কথা উঠে আসছে,সেই সমস্ত সম্পত্তি বেনামি সম্পত্তি কোথায়? কিছু সম্পত্তি কি এখনও লুকনো রয়েছে? সবটা জানতে এবার তদন্ত শুরু করল ইডি। সেই জন্যই আসানসোল জেল থেকে সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে এসে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। 

অনুব্রত প্রসঙ্গে....
গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁর ১৪ দিন জেল হেফাজতও হয়েছে। 'প্রভাবশালী' তত্ত্বের জেরেই জামিন খারিজ হয় অনুব্রতর। প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট-সহ একাধিক চালকল সিবিআইয়ের রেডারে। দিনতিনেক আগে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বোলপুরের কালিকাপুরের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। বোলপুর পুরসভার গাড়ির খালাসি ছিলেন বিদ্যুৎ। ২০১১-র পালাবদলের পর তাঁর চাকরি পাকা হয়। সেই থেকে উত্থান বিদ্যুৎবরণের। স্থানীয় সূত্রে দাবি, অনুব্রতকে বাবা বলে ডাকতেন বিদ্যুৎ। অনুব্রত তাঁকে একাধিক সংস্থার ডিরেক্টর বানিয়েছিলেন বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। গরুপাচার মামলায় এবার সেই বিদ্যুৎবরণই সিবিআইয়ের নজরে।এর মধ্যেই অনুব্রতর জামিন চেয়ে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি চিঠির অভিযোগে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও বীরভূমের দাপুটে জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, ওটা বিজেপি করেছে। এবার সিবিআইয়ের পাশাপাশি তৎপরতা বাড়াল ইডি।
 এর পর কোন দিকে জল গড়াবে? বলবে সময়।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours