অলিম্পিক্সে সাফল্যের পর বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমস থেকে পদক আসবে, এমনটাই আশা করেছিলেন সবাই। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে মহিলা হকি দলের প্লেয়ারদের।

কমনওয়েলত গেমসে হকিতে স্বপ্নভঙ্গ মেয়েদের। সেমিফাইনালে পৌঁছে পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল ভারতীয় মহিলা হকি দল (Indian Womens Hockey Team)। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত লড়াই করেও শেষ হাসি হাসতে পারলে না সবিতা, সঙ্গীতারা। পেনাল্টি (Penalty) শুটআউটে গিয়ে ম্যাচ হারতে হল ভারতকে। টোকিও অলিম্পিক্সে সাফল্যের পর বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমস থেকে পদক আসবে, এমনটাই আশা করেছিলেন সবাই। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে মহিলা হকি দলের প্লেয়ারদের।

এদিন ম্যাচের আগে মহিলাদের হকিতে অস্ট্রেলিয়ার-ভারত মুখোমুখি হয়েছে মোট ১৩ বার। তার মধ্যে ভারত মাত্র ২ বার জয় পেয়েছিল। এই ম্যাচ অস্ট্রেলিয়াকে হারালে ১৬ বছর পর কমনওয়েলথ গেমসের ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ ছিল ভারতের মহিলা হকি দলের সামনে। কিন্তু ম্য়াচের প্রথম থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কঠিন লড়াইয়ের সামনে পড়তে হয়েছিল নভনীতদের।

প্রথম কোয়ার্টারেই নিশ্চিত গোলের সুযোগ মিস করেন নভনীত কৌর। যদিও অস্ট্রেলিয়ার রেবেকা গ্রেনিয়ার সুযোগ পেয়ে তা মিস করেননি। প্রথম গোল করেন তিনিই। এগিয়ে যায় অজিরা। এরপর হাফ টাইম পর্যন্ত কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। অনেকগুলো সুযোগ পেলেও তা মিস করেন ভারতের প্লেয়াররা। যদিও তেকাঠির নীচে দুরন্ত ছিলেন সবিতা পুনিয়া। ওই একটি গোল হজম করা ছাড়া কিছু অনবদ্য সেভ করেন তিনি। চতুর্থ কোয়ার্টারে গোল পেয়ে যায় ভারত। কাটারিয়া ম্যাচে ভারতকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন। ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে। কিন্তু সেখানে ৩-০ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া। 

কুস্তিতে একের পর এক সাফল্য


গতকাল কুস্তিতে একের পর একে সাফল্য পেয়েছে ভারত। পুরুষদের ৮৬ কেজি ফ্রি স্টাইল বিভাগের ফাইনালে পাকিস্তানের ইনাম বাটকে লড়াই করতেই দিলেন না দীপক পুনিয়া। পাক প্রতিপক্ষকে ৩-০ হারিয়ে সোনা জিতলেন দীপক পুনিয়া। চোট-আঘাতে দীর্ঘদিন জর্জরিত ছিলেন। সাক্ষী মালিকের কাছে এবারের কমনওয়েলথ গেমস ছিল প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ। যে মঞ্চে জ্বলে উঠলেন সাক্ষী। মহিলাদের ৬২ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে প্রথম রাউন্ডে ০-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন। তারপরেও হারিয়ে দিলেন কানাডার গডিনেজ গঞ্জালেসকে। জিতে নিলেন সোনা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours