হাজার অপমান, অত্যাচারের পর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মর্যাদা ছিনিয়ে আনার সেই লড়াইয়ের পর পেরিয়ে আসা ৭৫ বছর। লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী।

SSC আদালতের নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি এসএসসির, ইন্টারভিউতে ডাক না পাওয়া ১১০০ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ
00:00
00:11 / 03:09
Copy video url
Play / Pause
Mute / Unmute
Report a problem
Language
Share
Vidverto Player
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ১৯৪৭ থেকে ২০২২। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি (Independence Day 2022)। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্ত বিফলে না যাওয়ার ১৫ অগাস্ট। দেশের মাটির অধিকার ফিরে পাওয়ার সেই দিন। নিমতৌড়ির (Nimtouri) জেলা শাসকের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন (Independence Day Celebration)।

তমলুকে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

হাজার অপমান, অত্যাচারের পর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মর্যাদা ছিনিয়ে আনার সেই লড়াইয়ের পর পেরিয়ে আসা ৭৫ বছর। লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’। এই বিশেষ দিনে তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলা শাসকের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্নেন্দু মাজি। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে।

অন্যদিকে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে ব্যারাকপুরের গাঁধীঘাটে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন রাজ্যপাল লা গণেশন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর ও জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী। 

প্রধানমন্ত্রীর পতাকা উত্তোলন

এদিন, স্বাধীনতার শতবর্ষের জন্য লক্ষ্যপূরণের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন পাঁচ সঙ্কল্পের কথা। প্রথম সঙ্কল্প ভারতের বিকাশ, দ্বিতীয় সঙ্কল্প দাসত্ব থেকে মুক্তি, তৃতীয় সঙ্কল্প ঐতিহ্য, উত্তরাধিকার নিয়ে গর্ব, চতুর্থ সঙ্কল্প এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গঠন, পঞ্চম সঙ্কল্প নাগরিক কর্তব্য পালন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই দেশ গণতন্ত্রের ধাত্রীভূমি। আগামী ২৫ বছরে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত। বৈচিত্রই ভারতের শক্তি।' স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে নারী শক্তির জয়গানও গাইলেন মোদি। লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ছুঁয়ে গেলেন রাজনীতিকেও। তাঁর কথায়, 'দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্র বা স্বজনপোষণই এখন দেশের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। একদিকে দারিদ্র, অন্যদিকে লুঠের টাকা লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াই আরও তীব্রতর হবে। এই লড়াইয়ে জেতার জন্য দেশবাসীর সঙ্গ চাই।' প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, 'লুঠের টাকা এবার ফেরত দিতে হবে। দুর্নীতি ও দুর্নীতিগ্রস্তদের দেখতে হবে ঘৃণার দৃষ্টিতে। পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধেও ঘৃণা তৈরি করতে হবে।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'রাজ্যগুলির মধ্যে উন্নয়নের প্রতিযোগিতা হোক। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় উন্নয়ন প্রয়োজন।'

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours