এখন আশা একটাই, হয়ত এবার কিছু একটা ব্যবস্থা হবে। আর সেই আশা নিয়েই দূর দূর থেকে এসে তাঁরা সামিল হয়েছেন মেয়ো রোডের আন্দোলনে। কেউ কেউ আবার কোলের সন্তানকেও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন।

কলকাতা : সোমবার আন্দোলনরত এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আশ্বাস দিয়েছেন। আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু আন্দোলনের পথ এখনই ছাড়ছেন না তাঁরা। রাস্তার ধারে, ফুটপাথে বসে একইভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার ছিল আন্দোলনের ৫১৩ দিন। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর খানিক আশ্বস্ত হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে পিছু হটবেন না তাঁরা। তবে এখন আশা একটাই, হয়ত এবার কিছু একটা ব্যবস্থা হবে। আর সেই আশা নিয়েই দূর দূর থেকে এসে তাঁরা সামিল হয়েছেন মেয়ো রোডের আন্দোলনে। কেউ কেউ আবার কোলের সন্তানকেও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন।

মেয়ো রোডে আন্দোলনরত এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী আমাদের বলেছেন, মেধাতালিকার প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীকে নিয়োগের বিষয়ে ওনার দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। শিক্ষামন্ত্রীর থেকে এই ধরনের বার্তা পেয়ে আমরা আশ্বস্ত। মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে আমাদের বরাবরই আবেদন রয়েছে, আমাদের এই জীবন যন্ত্রণা থেকে যেন মুক্তি দেওয়া হয়। উনি আমাদের বিষয়টি যথেষ্ট অনুধাবন করতে পেরেছেন। আমরা ওনার কাছে আবারও অনুরোধ করছি, আমাদের আসন তৈরির জন্য উনি যাতে সহানুভূতিশীল দৃষ্টি রাখেন।”

অন্য এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমাদের দাবি বরাবরই একটা। নবম থেকে দ্বাদশ মেধাতালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগ করা হোক। তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা আবারও প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। আমরা আশাবাদী। তবে সেই আশা যেন আমাদের বেশিদিন ধরে না রাখতে হবে। দ্রুত যাতে সেই প্রুতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়, সেই অনুরোধ করছি।” অর্থাৎ, তাঁদের বার্তা স্পষ্ট। শিক্ষমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁরা আশ্বস্ত হয়েছেন। কিন্তু সেই আশ্বাসে গা ভাসিয়ে এখনই আন্দোলনের পথ থেকে সরে যাচ্ছেন না তাঁরা। নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পরই আন্দোলেন পথ থেকে সরা হবে, এটাই যেন এদিন বার বার বুঝিয়ে দিলেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours