মঙ্গলবারই চিনের সংবাদমাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে জানানো হয়। হেনান ও শানডং প্রদেশের আক্রান্ত বাসিন্দাদের গলা থেকে এই ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


বেজিং: দুই বছর কেটে গেলেও, এখনও মুক্তি মেলেনি করোনাভাইরাস থেকে। নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্টের দাপটে ওঠানামা করছে বিশ্বের করোনা গ্রাফ। এর মাঝখান দিয়ে গোদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো জুটেছে মাঙ্কিপক্সও। বিশ্বের নানা দেশে বাড়ছে এই সংক্রামক রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এই দুই সংক্রামক রোগ সামলাতেই যেখানে গোটা বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে, তারমধ্যেই চিনে খোঁজ মিলল আরও এক নতুন সংক্রামক রোগের। পশুদেহ থেকেই সংক্রামিত হেনিপাভাইরাসে (Henipavirus) ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হেনিপাভাইরাস, যা ল্যাঙ্গা হেনিপাভাইরাস (Langya Henipavirus) নামেও পরিচিত, তাতে ইতিমধ্যেই পূর্ব চিনের হেনান ও শানডং প্রদেশের ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

মঙ্গলবারই চিনের সংবাদমাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া সম্পর্কে জানানো হয়। হেনান ও শানডং প্রদেশের আক্রান্ত বাসিন্দাদের গলা থেকে এই ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও অবধি ল্যাঙ্গা ভাইরাসে কারোর মৃত্যু না হলেও, এই ভাইরাস অত্যন্ত শক্তিশালী এবং মারণ ক্ষমতাযুক্ত বলেই জানানো হয়েছে।

চিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফ্লুয়ের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। প্রত্যেকেরই মৃদু উপসর্গ রয়েছে। এখনও অবধি আক্রান্ত ৩৫ জনের মধ্যে কেউ গুরুতর অসুস্থ বা মারা যাননি। তবে এই মারণ ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন না থাকায়, কেবল চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে সাধারণ চিকিৎসা করা ছাড়া বিশেষ কিছু করা যাচ্ছে না।

কী এই ল্যাঙ্গা ভাইরাস?
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে মানবদেহে প্রথম এই ভাইরাসের খোঁজ মেলে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্য়ে কোনও আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। পরবর্তী সময়ে মোট ১১ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। তবে চলতি বছরেই সর্বাধিক সংখ্যক আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। চিনের গবেষকরা জানার চেষ্টা করছেন কীভাবে মানবদেহ থেকে অন্য মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।

উপসর্গ-
এই সংক্রমণের প্রধান উপসর্গ হল জ্বর। এছাড়াও ৫০ শতাংশ আক্রান্তের কাশি, ৫৪ শতাংশ আক্রান্তের মাথা ঘোরা, ৫০ শতাংশের খিদে নষ্ট হয়ে যাওয়া, ৪৬ শতাংশের মাংসপেশীতে ব্যাথ্যা ও ৩৮ শতাংশের বমিভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে।

কোথা থেকে ছড়ায় এই ভাইরাস?
হেনান ও শেনডং প্রদেশে পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, মূলত মাটির নীচে বসবাসকারী প্রাণী থেকেই এই সংক্রমণ ছড়ায়। এছাড়া ৫ শতাংশ সংক্রমণ কুকুর থেকে এবং ২ শতাংশ সংক্রমণ ছাগল থেকে ছড়িয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours