গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনও।

গগরুপাচার মামলায় এবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) নামে দ্বিতীয় কোম্পানির হদিশ। খবর সূত্রের। সিবিআই (CBI) সূত্রে দাবি, নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই রিয়েল এস্টেট কোম্পানি তৈরি হয়েছিল ২০০৬ সালে। যার শেয়ার ক্যাপিটাল ছিল দেড় কোটি টাকা। ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের ঠিকানাতেই তৈরি হয় এই রিয়েল এস্টেট কোম্পানি।

 ২০০৬ সালে তৈরি বয় নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড 

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সংস্থার দুই ডিরেক্টর অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal) ও অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন। বোলপুরের কালিকাপুরের হারাধন মণ্ডল রোডে একই ঠিকানায় কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে ভোলে ব্যোম রাইস মিলেরও। অর্থাৎ একই ঠিকানায় রয়েছে তিন-তিনটি কোম্পানি। পেশায় স্কুলশিক্ষিকা অনুব্রত-কন্যার নামে এত সম্পত্তি কীভাবে হল, সেটাই জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ, বোলপুর পুরসভার কর্মী বিদ্যুৎবরণ গায়েনও। 

গরুপাচার মামলায় সিবিআই-এর নজরে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। সিবিআই সূত্রে দাবি, সুকন্যার নামে বোলপুরে কেনা হয়েছে জমি, চালকল-সহ একাধিক সম্পত্তি। বেনামে কোম্পানিও খোলা হয়েছে। যার শেয়ার ভ্যালু কোটি টাকা। অথচ অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর নামে এত সম্পত্তি কীভাবে হল, সেটাই জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।


গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনও। ২০১১-য় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই তিনি ফুলেফেঁপে ওঠেন। একসময় বোলপুর পুরসভার গাড়ির খালাসি হিসেবে কাজ করা বিদ্যুৎ ২০১১ সালে বোলপুর পুরসভায় স্থায়ী চাকরি পান। তাঁরও বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সিবিআইয়ের স্ক্যানারে এবার অনুব্রতকে বাবা বলে ডাকা বিদ্যুৎবরণ গায়েনও। 

বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত। তাঁর মেয়ে সুকন্যা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। নিচুপট্টির বাড়ি থেকে হাঁটা পথে মিনিট তিনেক দূরত্বেই স্কুল। বছর তিনেক আগে ওই স্কুলেই চাকরি পান সুকন্যা। তাঁর নামে থাকা যাবতীয় সম্পত্তিই এখন সিবিআই-এর নজরে। 

সুকন্যার নামে থাকা সম্পত্তির উপরও নজর গোয়েন্দাদের

সিবিআই সূত্রে খবর, বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় সুকন্যার নামে ১০টি জমির হদিশ মিলেছে। সূত্রের খবর, ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টরও সুকন্যা। মিনিস্ট্রি অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে এই সংস্থাটি তৈরি হয়। সেই সময় সংস্থার শেয়ার ক্যাপিটাল ছিল ১ কোটি টাকা। সংস্থার দ্বিতীয় ডিরেক্টর বিদ্যুৎবরণ গায়েন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours