পোলবার সুগন্ধা পঞ্চায়েতের দোগাছিয়া গ্রামের হেমন্ত পাত্র গ্রামেই ফুচকা বিক্রি করেন গত ৯ আগস্ট। সেদিন তাঁর কাছে ফুচকা খেয়েছিল দোগাছিয়া, বাহির রানাগাছা, মাকালতলার প্রায় শ দেড়েক লোক। কিন্তু কমবেশি সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। চুঁচুড়া, চন্দননগর ও পোলবা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় এদের। গ্রামে যায় পোলবা হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম। অভিযুক্ত ফুচকা বিক্রেতার বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ তুলে আজ হেমন্তর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘরের জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলা হয়। সিভিক ভলান্টিয়াররা আটকাতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ফুচকা বিক্রেতাও পোলবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর দাবি, ফুচকার জলটা কেমন লাগছে একজন বলেছিল। তাই তিনিও দুটি ফুচকা খেয়েছিলেন। তাতে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। যদিও বিজেপি এই ঘটনার মধ্যে রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে। হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ অভিযোগ করেন, ফুচকা বিক্রেতা তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় তাকে বাঁচাতে আসরে নেমেছে দল। উল্টে তাকেই হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে। আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়, একথা বলার পরেও ভাঙচুর প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এটা পুরোপুরি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
বিক্ষোভকারীরাও তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তাঁদেরও বক্তব্য, ফুচকা বিক্রেতাকে বাঁচাতেই হাসপাতালের বেডে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ফুচকায় কেমিক্যাল মেশানো হয়েছিল। তার জেরেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours