রাজধানী দিল্লিতে আটক করা হল প্রতিবাদরত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে! রাজধানীর কেন্দ্রস্থল রাজপথে, সংসদ এবং শীর্ষস্থানীয় সরকারি কার্যালয়ের কাছের উচ্চ নিরাপত্তায় মোড়া রাস্তায় বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রাহুল। মূল্যবৃদ্ধি এবং জিএসটি থেকে শুরু করে বিরোধী নেতাদের তদন্ত সংস্থার লক্ষ্যবস্তু করার বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন রাহুল। তাঁর মা সনিয়া গান্ধিকে ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

কংগ্রেস একই ধরনের প্রতিবাদে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা রাহুল গান্ধির ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধির একটি পুরনো সাদা কালো ছবির পাশাপাশি রাহুল গান্ধির ছবি শেয়ার করেছে৷ “ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি,” ট্যুইট করেছে কংগ্রেস।

রাহুল গান্ধি বলেন, “আমি মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি, মানুষের কণ্ঠস্বরের জন্য লড়ছি।” তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য বিক্ষোভকারীদের ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। একাই বিক্ষোভস্থলে বসেছিলেন রাহুল। তাঁকে ফোন বের করে পুলিশদের ছবি তুলতেও দেখা গেছে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা বিক্ষোভ অবস্থানের পরে কংগ্রেস সাংসদ রাহুলকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ রাহুল গান্ধিকে তুলে অন্যান্য আটক সাংসদদের সঙ্গেই বাসে উঠিয়ে দেয়। “ভারত একটি পুলিশ রাষ্ট্র, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার রাজা,” পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বলেন রাহুল গান্ধি।
শহরের অন্য একটি অংশে, তাঁর মা এবং কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধিকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার বিষয়ে দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরাও তদন্তকারী সংস্থার অফিসে গিয়েছিলেন। সংসদে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আগে সেখানে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধিও।

কংগ্রেস সাংসদরা সংসদে বিরোধীদের ‘চুপ করে রাখা’ নিয়ে প্রতিবাদ জানান। গতকালই দলের চার সাংসদকে পুরো বাদল অধিবেশনের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল। যে সাংসদরা রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে মিছিল করার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁদের বিজয় চক ক্রসিংয়েই থামিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশের নির্দেশ মেনেই আমরা প্রতিবাদ করছি। বিরোধীদের সম্পূর্ণরূপে শেষ করতে এবং আমাদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার জন্য এই সবই প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং অমিত শাহের ষড়যন্ত্র। আমরা ভয় পাব না, আমাদের লড়াই চলবে,” বলেন কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours