শ্বশুর বাড়িতে গৃহবধূর রহস্যজন্য মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বাবার বাড়ির লোকজন।তাঁদের অভিযোগ 'বিয়ের দু'বছরের পরেও সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি বধূ মান্তু দাস। তার কারণেই পূ্র্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার ভাতশালা গ্রাম নিবাসী শ্বশুর বাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে বধূকে প্রাণে মেরে দিয়ে তাঁর দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে'। বুধবার সকালে বধূর বাবার বাড়ির লোকজনের আনা এমন অভিযোগ ঘিরে ভাতশালা গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিষয়ে এদিন বিকাল পর্যন্ত বধূর বাবার বাড়ির লোকজন নাদনঘাট থানায় যদি কোন লিখিত অভিযোগ জমা দেননি। তবে পুলিশ বধূ মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে শ্বশুরবাড়ির পরিবারের দু'জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।

বধূ মান্তু দাসের দিদি সর্বানী রায় এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে তাঁর বোনের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অশান্তি লেগে থাকতো। বিয়ের দুই বছর পরেও সন্তান না হওয়া নিয়ে অশান্তার মাত্রা বাড়ে। মান্তুকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন চিকিত্‍সকের কাছে চিকিত্‍সা করাতে নিয়ে যায়। কিন্তু মান্তুর স্বামীর কোনো চিকিত্‍সা করানো হয় না। সর্বানী রায় বলেন, সন্তানের জন্ম দিতে না পারার সব দায় মান্তুর উপর চাপিয়ে দিয়ে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মান্তুর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালানো শুরু করে। সর্বানী রায় জানান, মান্তু আত্মহত্যা করেছে বলে বুধবার সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁদের জানায়। সেই খবর পেয়েই তারা কালনা মহকুমার শ্রীরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে যান ।সেখানে পৌঁছে দেখেন মান্তুর মৃতদেহ সেখানে পড়ে রয়েছে। পুলিশ এদিনই বধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। সর্বানী রায় বলেন, তাঁরা মনে করছেন তাঁর বোন বিয়ের দু'বছর পরেও সন্তানের জন্ম দিতে পারেনি বলে জামাই ও তাঁর পরিবারের লোকজন শ্বাসরোধ করে প্রাণে মেরে মান্তুর দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে পুলিশের বক্তব্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই বধূর মৃত্যর কারণ জানা যাবে। তাঁর ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours