রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত মালদা। ভাঙচুর করা হল বেসরকারি হাসপাতাল। শুধু তাই নয় চিকিত্‍সককে মারধরের পাশাপাশি একধিক অভিযোগ উঠছে রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সূত্রের খবর, মৃতের নাম শামিমা খাতুন। বয়স ২৮।তাঁর বাড়ি মালদার সুজাপুর বিশ্বাসপাড়া এলাকায়। গতকাল সকালবেলায় শামিমা নামের ওই মহিলাকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, শামিমা আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাঁর গর্ভপাত করানোর জন্যই পরিবারের সদস্যরা ওই প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিত্‍সক ডাক্তার মৈনাক সেনের হাতেই গর্ভপাত করানোর কথা ছিল প্রসূতির। কিন্তু গর্ভপাত করানোর সময় বাধে বিপত্তি। মৃত্যু হয় গর্ভবতী ওই মহিলার।

ঘটনার খবর চাউর হতেই রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়ে রোগীর বাড়ির সদস্যরা। হাসপাতালে এসে তাণ্ডব করতে থাকে তারা। অভিযোগ, মৃতার স্বামী মইনুল হক চিকিত্‍সক এই ঘটনায় মারধর পর্যন্ত করেছেন। রীতিমত উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ওই হাসপাতালে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় উপস্থিত হন মালদা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত স্বামী মইনুল হক সহ আরও তিনজনকে আটক করে তারা। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। গর্ভপাতের খবর জানাজানি হতেই বেঁকে বসেছে পুলিশ। যেখানে গর্ভপাত করানো বেআইনি। সেইখানে ওই চিকিত্‍সক এবং হাসপাতাল কীভাবে এই কাজ করছে সেইনিয়ে যথেষ্ঠ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন ওই পরিবার প্রসূতির গর্ভপাত করাতে হাসপাতালে ভর্তি করাল? কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই বা রাজি হলেন এই কাজে! সেই সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, চিকিত্‍সক নিগ্রহের ঘটনা আজ নতুন নয়। কয়েকমাস আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে তৃণমূল (TMC) সভাপতির মৃত্য়ুকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতাল চত্বর। তাঁর মৃত্য়ুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বরে প্রায় শ'খানেক লোক জমা হয়ে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে হাসপাতালে এসে পৌঁছয় পুলিশ।


Source-TV9 Bangla
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours