আজ ভাইফোঁটা। সেই কারণে প্রচণ্ড ভিড় ছিল মিষ্টির দোকানে। হঠাত্ বাধল বিপত্তি। আগুন ধরে গেল গোটা দোকানে। ঘটনায় এলাকায় উপস্থিত দমকলের একটি ইঞ্জিন।
জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাসত বাজার সংলগ্ন ফিডার রোড। ভাই-দ্বিতীয়ার জন্য মিষ্টির দোকানে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ছে তখন।
আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আর তার পাশের বিল্ডিংয়ের দোতলায় রয়েছে মিষ্টি তৈরি কারখানাটি। সেখানেই মিষ্টি বানাতে ব্যস্ত ছিলেন কারিগররা। তখনই কোনও ভাবে গ্যাস সিলিন্ডর থেকে গ্যাস লিক হয়ে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে কারখানার মধ্যে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মানুষ সঙ্গে-সঙ্গে জল ও বালি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে। এদিকে, এলাকা থেকে সেই আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় জয়নগর থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন। প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁরা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রাতের অন্ধকারে আগুন লাগলে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল এমনটাই মনে করছেন এলাকাবাসী।
এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “সকাল থেকেই ওরা মিষ্টি তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন। এরপর হঠাত্ কোনওভাবে গ্যাসটি লিক হয়ে যায়। সঙ্গে-সঙ্গে সকলে আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়েন। এরমধ্যেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।”
উল্লেখ্য, গতকালও আগুনের খবর সামনে আসে। কালীপুজোর রাতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে হাওড়ার তিনটি জায়গায়। প্রথম ঘটনাস্থান শিবপুর ট্রাম ডিপোর ফোরসোর রোডে। সেখানকার একটি বহুতলের ছয় তলায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। রাত ন'টা নাগাদ হঠাত্ই ওই ফ্লোরে আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ঘটনাস্থানে পৌঁছায় দমকলের দশটি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন তাঁরা। রাত পর্যন্ত সেই থাকেন প্রশাসনিক কর্তারা।
এদিন রাতেই ঘটে দ্বিতীয় ঘটনা। উত্তর হাওড়ার (North Howrah) ঘুসুড়ির গুহ রোডে একটি স্ক্যার্প আয়রন কারখানায় আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হঠাত্ই লেগে যায় সেখানে। দমকলের আটটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থানে গিয়ে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় যায় মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ (Malipanchghara police)। কারখানাটি বন্ধ থাকায় কেউ হতাহত হয়নি।
তৃতীয় ঘটনাটি সাঁতরাগাছির একটি বস্তির। সেখানে ছোটো ঝুপড়িতে আগুন লেগে যায়। ঘটনাস্থানে দমকলের দু'টি ইঞ্জিন গিয়ে তা নিভিয়ে ফেলে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours