মূল পাণ্ডা ভিকি-সহ ৬ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। গড়িয়াহাট জোড়া খুনকাণ্ডে এবার প্রধান অস্ত্রটিও উদ্ধার করলেন তদন্তকারীরা। পাওয়া গেল নিহত সুবীর চাকির একটি আং‌টি, একাধিক ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলের মোবাইল ফোনও। ঘটনার সূত্রপাত্র ১৭ অক্টোবর। সেদিন গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২টি মৃতদেহ। দোতলা বাড়ির একতলায় মেলে নিউটাউনের বাসিন্দা সুবীর চাকীর দেহ। তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলের দেহ পাওয়া যায় দোতলায়। পরিবারের লোকেদের দাবি, কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটি বিক্রি চেষ্টা করছিলেন সুবীর। রবিবার কোনও ক্রেতাকে দেখানোর জন্য ওই বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন গাড়ির চালকও। রাতে আর ফেরেননি, এমনকী মোবাইল ফোনটিও সুইচড অফ ছিল।



খুন হয়ে গেলেন কী করে? তদন্তে জানা যায়, নিহত সুবীর চাকি কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটি দেখভাল করতেন মিঠু হালদার নামে এক মহিলা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মণ্ড হারবার থেকে তাঁকে আটক করে পুলিস। এরপর প্রথমে ডায়মন্ড হারবার থানা, তারপর লালবাজারে নিয়ে ম্যারাথন জেরা করা হয় মিঠুকে। শেষপর্যন্ত গ্রেফতার হয় বাড়ির পরিচারিকা। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় জোড়া খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সে। চলতি মাসের গোড়ায় ধরা পড়ে গড়িয়াহাট জোড়া খুনকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভিকি। মুম্বই থেকে ভিকি ও তার সঙ্গী ভঙ্কর মন্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিস।

খুনের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার হল কী করে? এদিন সকালে ভিকিকে সঙ্গে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারে অভিযান চালায় লালবাজারের একটি দল। অভিযুক্তের বাড়ি ও আশেপাশের এলাকা কার্যত তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখা হয়। এমনকী, স্থানীয় ক্রিক খালেও নামানো হয় ডুবুরিও। যদিও এই খুনের ব্য়বহৃত ছুরিটি কোথায় থেকে পাওয়া গেল, তা জানা যায়নি। ডায়মন্ড হারবারে কেন এই তল্লাশি অভিযান? পুলিস সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত ভিকি ও বাড়ির পরিচারিকা মিঠুন হালদার জেরায় জানিয়েছে, গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের পর ডায়মন্ডহারবারে চলে আসে তারা। মাঝের পোলের উপর থেকে নিজেদের মোবাইল ফোন ফেলে দেয় ক্রিক খালে। মোবাইলে খোঁজে এই তল্লাশি অভিযান। ঘণ্টা দুয়েক তল্লাশি পরেও অবশ্য মোবাইলে খোঁজ মেলেনি।

Zee 24 ঘন্টা
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours