পঞ্জশির এখনও তালিবানের (Taliban Terror) সবচেয়ে বড়গলার কাঁটা। শুক্রবারই তারা দাবি করেছিল হিন্দুকুশ পর্বতে ঘেরা পঞ্জশির এথন তাদের দখলে। অথচ সেখানেই শনিবার নিকেশ হল ৭০০ তালিব জেহাদি। প্রতিরোধ বাহিনী তথা নর্দান অ্যালায়েন্সে (Afghan resistance forces) তরফে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানানো হয়েছে।

শনিবার দিনভর পঞ্জশিরে (Panjshir) রক্তক্ষয়ী লড়াই হয়। আর সেই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত ৭০০ জেহাদির প্রাণ গিয়েছে বলে দাবি মাসুদের নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ বাহিনীর। তাদের হাতে বন্দিও হয়েছে বহু তালিবান। মাসুদ (Ahmad Shah Massoud) বাহিনীর সামনে আত্মসমর্পণ করেছে অন্তত ৬০০ জন। বাকিরা পালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি। অথচ শনিবার সকালেই পঞ্জশির দখল করেছে বলে দাবি করেছিল তালিবান। তাদের দাবি ছিল, পর্যদুস্ত হয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী। ভেঙে পড়েছে শেষ বাধাও। এই দাবির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলে গেল চিত্রনাট্য?


নর্দান অ্যালায়েন্স জানাচ্ছে, 'আমরা সুবিধাজনক অবস্থায় আছি। সবটাই ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। গোটা প্রদেশ আমরাই নিয়্ন্ত্রণ করছি।' ওয়াকিবহাল মহল বলছে, তালিবান পঞ্জশির এলাকার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ার পরই আফগানিস্তানের (Afghanistan) মূল এলাকার সঙ্গে তাদের যোগাযোগের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী। ফলে অস্ত্র, খাবার সরবরাহ আটকে গিয়েছে। অন্যদিকে বেশিরভাগ এলাকায় ল্যান্ডমাইন বিছিয়ে দিয়েছে বাহিনী। যার জেরে এগোতে গেলেই বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে তারা। এ কথার সত্যতা স্বীকার করে তালিবানের একটি সূত্রে জানিয়েছে, লড়াই জারি রয়েছে। কিন্তু বজরক এলাকায় পৌঁছনোর রাস্তায় ল্যান্ডমাইন বিছিয়ে রাখা হয়েছে। যার জেরে ধীরগতিতে এগোতে হচ্ছে।

তবে প্রতিরোধ বাহিনীর দাবি যে নেহাতই অমূলক নয় তা শনিবার রাতেই বোঝা গিয়েছিল। আরও তালিবান সরকার গঠন প্রক্রিয়া আরও এক সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে। আর এর পিছনে পঞ্জশিরে প্রতিরোধ বাহিনীর লড়াই-ই অন্যতম কারণ বলে দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই লড়াই যে এখনই খতম হচ্ছে না তা স্পষ্ট আফগানিস্তানেক প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহের (Vice-President Amrullah Saleh) বার্তাতেই স্পষ্ট। এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, 'প্রতিরোধ চলছে। ভবিষ্যতেও চলবে।'
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours