প্রয়াত রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ও প্রবীণ সাংবাদিক চন্দন মিত্র। দিল্লিতে গভীর রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কুশান মিত্র। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। চন্দন মিত্রের প্রয়াণের খবর প্রথম টুইটারে জানান তাঁর বাল্যবন্ধু ও সহপাঠী বিজেপি সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত। বন্ধুর সঙ্গে স্কুলের সময়কার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, '১৯৭২ সালে স্কুলের একটি ট্রিপে আমি আর চন্দন মিত্র। প্রিয় বন্ধুর প্রয়াণে আমি শোকাহত। আমরা একই সঙ্গে লা মার্টিনিয়র স্কুলে পড়েছি। সেন্ট স্টিফেন্স ও অক্সফোর্ডেও ছিলাম সহপাঠী। সাংবাদিকতার জার্নিও একই সঙ্গে। যেখানেই থাকো ভাল থেকো।'চন্দন মিত্রর জন্ম ১৯৫৫ সালের ১২ ডিসেম্বর হাওড়ায়। কলকাতার লা মার্টিনিয়র স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন। শহরের এই অভিজাত স্কুলেই তাঁর সহপাঠী ছিলেন স্বপন দাসগুপ্ত। দিল্লিতে সেন্ট স্টিফেন্স স্কুলেও একই সঙ্গে পড়াশোনা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেএমএ ও এমফিল করে ১৯৮৪ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন চন্দন মিত্র। এই সুদীর্ঘ জার্নিতে তাঁর সঙ্গেই ছিলেন স্বপন দাসগুপ্ত। কলেজে পড়ার সময় শশী তারুরের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হয় তাঁর। জানা গেছে, কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সময় শশী তারুরের হয়ে প্রচারও করেছিলেন তিনি। কলকাতায় স্টেটসম্যান হাউজের সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। 'দ্য পায়োনিয়র' পত্রিকায় সম্পাদক ছিলেন। তাছাড়া দ্য সানডে, টাইমস অব ইন্ডিয়ার মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমেও কাজ করেছেন বহুদিন। ২০০৩ সালে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। বিজেপির টিকিটে দু'বার সংসদ হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। এ বছরই দ্য পায়োনিয়রের সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দেন চন্দন মিত্র।
প্রবীণ সাংবাদিকের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে তিনি লিখেছেন, 'প্রখর বুদ্ধিমত্তা ও অন্তর্দৃষ্টির জন্য চন্দন মিত্র সকলে মনে রাখবেন। সাংবাদিক জীবনের পাশাপাশি রাজনৈতিক জীবনেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তাঁর পরিবার ও আপজনদের প্রতি সমবেদনা রইল।' পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা ' সুখপাঠ '
Post A Comment:
0 comments so far,add yours