হাই কোর্টের নির্দেশ পাওয়ামাত্রই 'অশান্তি' মামলায় নড়েচড়ে বসল CBI। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৪টি বিশেষ টিম গঠন করল তদন্তকারী সংস্থা। এই টিমের একাধিক অফিসার আসবেন দিল্লি  ও দেরাদুন থেকে, এমনটাই খবর।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election, 2021) ফলপ্রকাশ হয় গত ২ মে। বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসে তৃণমূল । বিজেপির অভিযোগ, তারপর থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলা। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তাদের একাধিক কর্মী-সমর্থক হামলার শিকার হন। কারও কারও প্রাণ যায়। বেশ কয়েকজন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন বলেও অভিযোগ। সেই অভিযোগের জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে  একাধিক পিটিশন জমা পড়ে আদালতে।


অভিযোগ খতিয়ে দেখে গত ১৮ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (NHRC) কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়। রাজ্যের একাধিক জায়গা ঘুরে রিপোর্ট তৈরি করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ওই রিপোর্ট দেখে রাজ্যের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করে হাই কোর্ট। পালটা রাজ্যের তরফে অভিষেক মনু সিংভি মানবাধিকার কমিশনের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই মর্মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করা হয়। এই মামলাতেই বৃহস্পতিবার রায়দান করল কলকাতা হাই কোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। বাড়ি ভাঙচুর করা, আগুন লাগানো, মারধর করা, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম অশান্তির ঘটনার জন্য গঠন করা হবে সিট।

৬ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। নির্দেশ পেয়েই তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই। ২৫ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ৪ টি স্পেশ্যাল টিম। প্রতি দলে থাকছেন তিনজন এসপি পদমর্যাদার অফিসার। থাকছেন ২ জন করে ডিআইজি পদমর্যাদার আধকারিককে। জানা গিয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই কলকাতার নন। তাঁরা দিল্লি অথবা দেরাদুনের। শনিবারের মধ্যে তাঁদের কলকাতায় পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours