কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর আমন্ত্রণে আজ বৈঠকে বসছেন বিজেপি বিরোধী নেতা নেত্রীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ভবিষ্যত রূপরেখা নিয়ে বৈঠকে কথা হবে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে হবে এই বৈঠক। তাতে থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, ডিএমকে নেতা তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী শিবু সরেন, সিপিএম ও সিপিআইয়ের নেতারা। থাকবেন রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের অন্য শীর্ষ নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীরা। গত মাসেই দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা হয় তাঁদের। তারপর সনিয়ার এই বৈঠক। বৈঠকে মমতা বন্দ্যোাধ্যায় কী বলেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে খুব আগ্রহ তৈরি হয়েছে সংসদ চলা এবং মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি থাকাকালীন সময় যৌথ আন্দোলনের ব্যাপারে তৃণমূলের কিছু পদক্ষেপ ঘিরে। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল, রাহুল গান্ধীর ডাকা বেশ কয়েকটি বৈঠকে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে তৃণমূলের অনুপস্থিতি। দিন কয়েক আগে দলের মুখপত্র জাগো বাংলায় তৃণমূল এ নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তারা বলেছে, বিজেপি বিরোধী যে কোনও আন্দোলন ও বৈঠকে তারা থাকবে। কিন্তু কংগ্রেসকে বাকি দলগুলির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। হটাত্‍ করেই বৈঠক ডেকে দিলে হবে না। আগাম আলোচনা করতে হবে। তৃণমূল স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, বাংলায় তারা


একাই বিজেপিকে বিধানসভা ভোটে পরাজিত করেছে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিজেপি বেড়েছে, সে কথাও বলা হয়েছে। কংগ্রেস অবশ্য এই দফায় বেশ সক্রিয়। সংসদ চলাকালীন সময়ে রাহুল গান্ধী সংসদের ভিতরে ও বাইরে বেশ সক্রিয় ছিলেন। মোদী সরকারের বিরোধিতায় সব বিরোধী দলকে এক সঙ্গে নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করেছেন সনিয়া পুত্র। সংসদের বাইরেও যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন জারি থাকবে সেই বার্তা দিতে অধিবেশন শেষ হওয়ার পরদিনই সংসদ চত্বর থেকে বিজয়চক পর্যন্ত বিরোধী সাংসদদের নিয়ে মিছিল করেছেন পেগাসাস এবং আরও কয়েকটি ইস্যু নিয়ে। এরপর প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল নৈশ ভোজে ডাকেন বিরোধী নেতাদের। বসে নেই সনিয়াও। আজ তাঁর ডাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মিলিত হবেন বিরোধী নেতারা।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours