ভুয়ো ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয় নিয়ে উত্তাল রাজ্য। তারই মধ্যে সরকারি হাসপাতালে প্রকাশ্যে এল ভ্যাকসিনের কালোবাজারির ঘটনা। পূর্ব মেদিনীপুরের এক সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রমরমিয়ে চলছে ভ্যাকসিনের কালোবাজারি। টাকার বিনিময় ভ্যাকসিন পাইয়ে দেওয়ার কাজ করছেন গুটিকয়েক এজেন্ট। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে এলাকা থেকে চম্পা দেন তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। হাসপাতালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেন এলাকার মানুষজন।


ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোলাঘাটের পাইক বাড়ি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। বাসিন্দাদের অভিযোগ সঙ্গে যুক্ত এজেন্টরা ভ্যাকসিনের জন্য এক জনের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা ও দুজনের ক্ষেত্রে ৮৫০ টাকা ধার্য করেছিল। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, সোমবার বিকেল থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। কিন্তু বিকেল থেকেই হাসপাতালে লোকজনের আনাগোনা দেখে এলাকাবাসীদের সন্দেহ হয়। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন এজেন্ট মারফত কালোবাজারি চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এরপরই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশর বাহিনী।

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এলাকার বিএমওএইচ-এর বিরুদ্ধে। এই বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তার তরফে কোনও উত্তর মেলেনি। স্থানীয় ক্ষুব্ধ মানুষজন হাসপাতালে সামনেই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেন পুলিশের কাছে। কোলাঘাট রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, "এই বিষয়টি জানিনা তবে এমন ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্যে ভ্যাকসিনের জোগান কম। তার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে মনে হয়। অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" ঘটনায় নিন্দা করে কোলাঘাটের বিজেপি নেতা দেবব্রত পাটনায়েক জানান, "কোলাঘাটের ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গত বছরও বাইরে থেকে পিপিই কিট বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। মানুষই তার জবাব দিয়েছে।"


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours