রাজ্যে দৈনিক কোভিড সংক্রমণ অনেকটাই কমে গিয়েছে। এখনই উপনির্বাচনের উপযুক্ত সময়। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দরবার করে এসেছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। পর দিন উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন 

কোচবিহার, কলকাতা দক্ষিণ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও নদিয়ার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তাতে বলা হয়েছে,উপনির্বাচনের জন্য ইভিএম, ভিভিপ্যাট তৈরি রাখা হোক। ফলে নির্ধারিত ৬ মাসের মধ্যেই উপনির্বাচন হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।  রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের মতামত জানতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, রাজ্যসভা তো বটেই উপনির্বাচনের জন্যেও প্রস্তুত সরকার। গতকালও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,'আলাদা আলাদা এলাকায় উপনির্বাচন। বাংলায় সংক্রমণের হার ১.৫ শতাংশ। এমন এলাকাও আছে যেখানে একটা কেসও নেই। যেমন কাল কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট দেখছিলাম, ভবানীপুরের অনেক ওয়ার্ড কোভিডশূন্য।' গতকালই নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য বলেছিলেন,'টিকাকারণ সম্পূর্ণ না হলে ভোট করা উচিত নয়।। যারা পশ্চিমবঙ্গে পুরসভার নির্বাচন করতে পারে না, এমনকি ৪ বছর ধরে কলেজের ছাত্র সংসদের ভোট করতে পারে না, তাদের উপনির্বাচনের জন্য এত তাড়া কীসের?'  

ভোটের আগে প্রার্থীদের মৃত্যু হওয়ায় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে নির্বাচন হয়নি। আরও ৫টি কেন্দ্র দিনহাটা, ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর ও গোসাবায় নির্বাচন বাকি। নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ায় ৬ মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলনেত্রীর জন্যেই ভবানীপুর আসন থেকে পদত্যাগ করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি প্রার্থী হতে পারেন খড়দহে। 

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours