বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায় শুক্রবার তৃণমূল ভবনে পৌঁছনো মাত্রই তাঁর বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানালেন বিজেপির দুই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং অর্জুন সিং। এতদিন তৃণমূল যে ভাবে ছেড়ে যাওয়াদের আক্রমণ শানাত কার্যত সেই শব্দবন্ধ ব্যবহার করেই মুকুলের বিরুদ্ধে কামান দাগলেন বিষ্ণুপুর আর ব্যারাকপুরের সাংসদ। সৌমিত্র, অর্জুন দু'জনেই আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন। এদিন সৌমিত্র খাঁ বলেন, 'স্বাধীনতার আগে মিরজাফরকে দেখেছিল বাংলার মানুষ। আবার সেই মিরজাফরকে আমরা দেখছি। মুকুল রায় বেইমান। উনি কোনও চাণক্য নন। যদি তাই হতেন তাহলে নিজের ছেলেকে অন্তত বীজপুর থেকে জেতাতে পারতেন।' সেইসঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, 'আমি ধর্মের সঙ্গেই থাকব।

আমি মনে করি নরেন্দ্র মোদী শ্রীকৃষ্ণ। এই মিরজাফরদের বিরুদ্ধে বাংলায় বিজেপির লড়াই চলবে।' তিনি আরও বলেন, 'এই মিরজাফরদের নিয়ে তৃণমূল বাংলাকে আরও অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চাইবে।' তৃণমূলে থাকার সময় থেকেই মুকুল রায় আর অর্জুন সিং ছিলেন বিবাদমান। উত্তর ২৪ পরগনার রাজনীতিতে তাঁদের দ্বন্দ্ব ছিল সুবিদিত। এদিন মুকুল রায় তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে পৌঁছতেই তীব্র আক্রমণ শানালেন অর্জুন। ব্যারাকপুরের সাংসদ বলেন, 'মুকুল রায় গদ্দার। উনি চিরকাল গদ্দারি করেই রাজনীতি করেছেন। বিজেপির কেউ ওঁকে বিশ্বাস করত না। উনি মমতার সঙ্গেও গদ্দারি করেছেন।' মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় সভাপতি করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তাঁর এই পুরনো দলে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হতে আন্দোলিত জাতীয় রাজনীতিও। সূত্রের খবর দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতাদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে, মুকুল প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ না খুলতে। বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন, কোনও ব্যক্তি নয়, বাংলায় দু'কোটি ২০ লক্ষ মানুষের ভোটের ভিত্তিতেই লড়াই চালিয়ে যাবে বিজেপি। এদিকে মুকুল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যারাকপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা এবারে বিজেপির হয়ে খড়দহে ভোটে লড়া শীলভদ্র দত্ত বলেছেন, 'এগুলো যাঁর যাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে বারবার এ ভাবে শিবির বদলালে মানুষ ভাল ভাবে নেয় না। রাজনীতি সম্পর্কে তাঁদের ধারণাটাই খারাপ হয়।'
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours