রূপ বদলে বারবার ফিরে আসছে করোনা (COVID 19)। কোনওভাবেই রোখা যাচ্ছে না মারণ ভাইরাসকে। বারবার নিজের গঠন বদলে আরও মারত্মক হয়ে উঠছে কোভিড। বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য অনেকাংশে দায়ী ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন অর্থাৎ বি.১.৬১৭। এ বার এই স্ট্রেন নিজের রূপ বদলে আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে। কে৪১৭এন মিউটেশনের মাধ্যমে বি.১.৬১৭.২ অতি সংক্রামক স্ট্রেনে পরিণত হয়েছে। যা ‘উদ্বেগজনক’ হতে পারে বলছেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।

তিনি জানিয়েছেন, যদি সঠিক করোনাবিধি না মেনে চলা হয়, তাহলে দেশে আরও দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়বে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আনলকের ক্ষেত্রেও বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিয়েছেন গুলেরিয়া। এইমস প্রধান বলেন, “ডেল্টা প্লাস ডেল্টার মতোই একটি ভ্যারিয়েন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই স্ট্রেনকে ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট বললেও এটি উদ্বেগজনক হতে পারে। আগামী কয়েক সপ্তাহে নজরদারি রাখতে হবে, নাহলে এই স্ট্রেন চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

দিল্লির সিএসআইর ইনস্টিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির বিজ্ঞানী বিনোদ স্কারিয়া আগেই টুইট করে জানিয়েছেন, নয়া এই স্ট্রেন বি.১.৬১৭.২.১ পরিলক্ষিত হয়েছে। তাঁর দাবি মিউটেশনের ফলে মানবদেহে প্রবেশের পথ আরও সুগম করেছে এই ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন। বিনোদ জানিয়েছেন, ইউরোপ, আমেরিকায় প্রভাব বিস্তার করলেও আপাতত ভারতে দ্রুত ছড়াতে শুরু করেনি এই স্ট্রেন। তবে চিন্তার বিষয়, এই স্ট্রেনের কাছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি রুখে দেওয়ার ক্ষমতা থাকতে পারে। অর্থাৎ অ্যান্টিবডি ককটেলকে আটকে দিতে পারে এই নয়া স্ট্রেন। কয়েকদিন আগেই অনুমোদন পেয়েছে অ্যান্টিবডি ককটেল। এ বার সেই ককটেলের কার্যকরিতা রুখে দিতে পারলে চিন্তা আরও বাড়বে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours