রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ১১টি জেলায় করোনা আক্রান্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি। তাই লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বেঙ্গালুরু সিটিতে এই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করা সেখানে পজেটিভিটি রেট কম থাকায়, বেশ কিছুটা ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে উইকেন্ড কার্ফু চলবে। অর্থাত্ প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার সন্ধে ৭টা থেকে সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত লকডাউনের বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
শহরের পার্কগুলি সকাল ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যে ১১টি জেলায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, সেকানে অত্যাবশকীয় পণ্য পরিষেবা ছাড়া, আর কোনও পরিষেবা চালু রাখা যাবে না। বেঙ্গালুরু শহরের শিল্পাঞ্চলে কলকারখানাগুলি ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে পারবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে সকাল ছটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত। এই সময়সীমা জারি থাকবে রাস্তার ধারের দোকানগুলির ক্ষেত্রেও।যানবাহনের ক্ষেত্রে জানানো হয়েছে অটো ও ট্যাক্সিতে দুজনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। শুক্রবার কর্ণাটকে ১০,৯৫৯ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, সংক্রমণের পরিমাণ কম হলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকেই মৃতের সংখ্যা চার হাজারের ঘরে ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু, গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৬ হাজারের গণ্ডি পাড় করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ১৪৮জনের। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৭৬। আর দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১২১।
গতকাল আড়াই হাজারের নিচে নেমেছিল দৈনিক মৃতের সংখ্যা । কিন্তু, গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৬ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে । এর জন্য দায়ি বিহারের মৃতের সংখ্যা। এতদিন বিহারে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজারের উপরে ছিল । সেখানে সরকারের তরফে নতুন করে মৃতের সংখ্যা যাচাইয়ে দেখা গিয়েছে বিহারে মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৩৭৫ জনের । এর পরই বেড়ে গিয়েছে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours