ভারতের রফতানি গন্তব্য দেশের তালিকায় বড় লাফ বাংলাদেশের। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে রফতানির পরিমাণের নিরিখে একলাফে ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে হংকংকে পিছনে ফেলে সেই তালিকায় এখন চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ভারতীয় কৃষিপণ্য়ের চাহিদা বৃদ্ধি, সহজ পরিবহণ এবং নয়াদিল্লির কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলেই তা সম্ভব হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যকার ত্রৈমাসিকে বাংলাদেশে ৩.১৬ বিলিয়ন ডলার পরিমাণের পণ্য রফতানি করেছে ভারত। বার্ষিক ভিত্তিতে যা ৪৬ শতাংশ বেশি। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই পর্যায়ক্রমে রয়েছে চিন, সংযুক্তর আরব আমিরশাহি, বাংলাদেশ এবং হংকং।

জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যকার ত্রৈমাসিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৫.৪১ বিলিয়ন ডলার পরিমাণের পণ্য রফতানি করেছে ভারত।


এই সময়কালে চিনে ৫.৯২ বিলিয়ন ডলার পরিমাণের পণ্য রফতানি করেছে ভারত। এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এই সময়কালে ৫.৩৪ বিলিয়ন ডলার পরিমাণের পণ্য রফতানি করেছে ভারত। এরপরই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ।


বার্ষিক ভিত্তিতে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে ভারতের রফতানির পরিমাণ ৩৫.১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ০.৯৫ বিলিয়ন ডলারে। ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ০.৯৪ বিলিয়ন ডলার এবং মার্চে তা গিয়ে পৌঁছায় ১.২৬ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে বাংলাদেশ এই তালিকায় নবম স্থানে ছিল। তবে একলাফে এবার হংকংকে পিছনে ফেলে চতুর্থ স্থানে উঠে এল বাংলাদেশ। এর অন্যতম কারণ বাংলাদেশে ভারতের কৃষিপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি।


উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারত থেকে বাংলাদেশে কৃষিপণ্যের রফতানি বাড়ে ৯৫.৯৩ শতাংশ। এদিকে গতবছর চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। আগে যে শুল্ক ছিল ৬২.২৫ শতাংশ। তা কমিয়ে আনা হয় ২৫ শতাংশে। এর ফলে বাংলাদেশে ভারতীয় চাল রফতানি বাড়ে অনেকটা। রেল, সড়কপথে খুব সহজেই পণ্য ভারত থেকে পৌঁছে দেওয়া যায় বাংলাদেশে। সেই বিষয়টিও দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নতি করার পক্ষে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours