মুরগির দাম বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়াও মোরগের দাম প্রতি কেজি ৩০০০ টাকা।
#হায়দরাবাদ দেশে এখন নতুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে বার্ড ফ্লু নিয়ে। ইতিমধ্যেই ১০ রাজ্যে বার্ড ফ্লু হওয়ার ঘটনা নজরে এসেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে পোলট্রি এবং পোলট্রি জাতীয় পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যার ফলে মুরগির দাম মারাত্মক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। কোনও কোনও স্থানে মুরগির দাম প্রতি কেজি ১০০টাকায় পৌঁছেছে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশে মুরগির দামে কোনও হেরফের ঘটেনি। উলটে মুরগির দাম বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়াও মোরগের দাম প্রতি কেজি ৩০০০ টাকা।
অবাক হলেও এই ঘটনা সত্যি! মকর সংক্রান্তির পরেই মেলায় মেলায় বসে যায় মোরগের লড়াই।অন্ধ্রপ্রদেশেও এই ঘটনার বিরূপ হয়নি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এখন চলছে জোড়া মোরগের লড়াই। এ ছাড়াও গুন্টুর, কৃষ্ণ,পূর্ব ও পশ্চিম গোদাবরী জেলায় চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে মুরগির মাংস। প্রতি বছর সংক্রান্তির সময় মরগের লড়াই এখনও বিলুপ্ত হয়নি। বহু কাল ধরেই এই রীতি ঐতিহ্য বহন করে চলেছে মোরগ মালিকেরা।
মোরগ লড়াই'য়ের সময় দু’টি মোরগের মধ্যে চলে রক্তারক্তি কান্ড । সংক্রান্তির পরের দিন এ খেলা দেখতে ভিন্ন প্রান্তের মানুষ উপস্থিত হয় মাঠে মাঠে। লড়াইয়ের হিসেব সহজ। যার মোরগ জিতবে, ঘায়েল মোরগও তাঁর। ফলে মালিকেরা ওই ঘায়েল মোরগকে বিক্রি করে দেয় কিলো দরে। এ ছাড়াও যে মোরগ জিতবে সেগুলিকে বিক্রি করা হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায়।মাংস বিক্রেতা প্রসাদ ভীমাবরমের কথায়, "ঘায়েল মোরগের শরীর লড়াইয়ের পড়ে এক্কেবারে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে। তার সেরে উঠতে অনেক দিন সময় লেগে যায়। তাই সেই মোরগের পিছনে অর্থ নষ্ট না করে বিক্রি করে দেওয়া হয়। যাতে মানুষ খেতে পারেন"। তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন যে লড়াই করার জন্য যে মোরগ গুলো কে ব্যবহার করা হয় সেগুলোর জাত অনেক উন্নত। এবং জন্মানোর পরে  আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া হয় ওই মোরগগুলির।
খাম্মাম জেলার এক মোরগ মালিক উদয় ভাস্কর কনকামেডালা জানিয়েছেন, "ভাল জাতের মোরগকে আমরা খুব যত্ন  নিয়ে লালন-পালন করি।কারণ ওকে লড়াই করতে হবে। প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়ার জন্য আমরা মোরগকে জন্মের পর থেকেই প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করি। তিনি আরও বলেন, প্রতিযোগিতায় কেবল একটি মোরগ জিতবে, অপরটি হারবে। তাই জয়ী মোরগকে অনেক সময় ১৫ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকাতেও বিক্রি করা হয়। অপর ঘায়েল মোরগকে খাওয়ার জন্য বিক্রি করা হয়, কারণ এতে পুষ্টির পরিমাণ পর্যাপ্ত রয়েছে"। (তথ্য সংযোজন: রাম কুমার, যিনি মাংস কিনছিলেন। নিউজ ১৮-কে এই বিষয় জানিয়েছেন।) 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours