মাঝে আড়াই হাজারের কাছাকাছি নেমে গিয়েছিল বাংলার দৈনিক করোনা সংক্রমণ। কিন্তু আবার তা তিন হাজারের উপরে চলে যেতে শুরু করেছে। তবে, ধারাবাহিক ভাবেই রাজ্যে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল কদিন আগে থেকেই। তবে, আড়াই হাজার থেকে ফের তিন হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে বাংলার দৈনিক সংক্রমণ।

একইসঙ্গে বাংলায় সংক্রমণের ফলে মৃত্যুও এখনও দুশ্চিন্তায় রাখছে বিশেষজ্ঞদের। বৃহস্পতিবার ৪৯ জনের মৃত্যুর পর গত ২৪ ঘণ্টায় তা আবার বেড়ে দাঁড়াল ৫২! সেইসঙ্গে আরেকটি উদ্বেগের জায়গা হল, দৈনিক আক্রান্ত ও দৈনিক সুস্থতার মধ্যে ব্যবধান কমে আসছে। ফলে, অ্যাক্টিভ আক্রান্ত কমলেও তা আশানুরূপ হারে কমছে না। কিন্তু সংক্রমণের হঠাৎ ওঠা-নামা ও মৃত্যু এখনও দুশ্চিন্তায় রাখছে বিশেষজ্ঞদের।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের শুক্রবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২০৬ জন। সেখানে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ৩ হাজার ২১৫। একইসঙ্গে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫২২। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮৪৯ জন।

উল্লেখ্য, গতমাসের শেষ দিক থেকেই বাংলায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৫০-এর নীচে নেমে এসেছিল। কিন্তু, আবার ফের ৫০-এর উপরে চলে যায়। আর এই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। যদিও এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদল বৈঠকে বলেছেন, শীঘ্রই টিকা আসবে ভারতে। যদিও গোটা দেশেই মৃত্যুর সংখ্যা এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সঙ্গতি রেখে বাংলাতেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের! সবমিলিয়ে রাজ্যে এ পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৮,৬২৮ জন। শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমে হয়েছে ২৪,০৪৫। রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৩.৪২ শতাংশ।

ধারাবাহিকভাবে দৈনিক করোনা সংক্রমণে কলকাতা শীর্ষেই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীতে নতুন করে আক্রান্ত ৭৯৪ জন। তার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। নতুন করে আক্রান্ত ৬৯৪ জন। এ ছাড়া নদিয়ায় ১৩৩, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২১৬, হাওড়ায় ১৪০ জন, হুগলিতে ১৮৫ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৪০, জলপাইগুড়িতে ১৪৪ জন এবং দার্জিলিংয়ে ১৩৪ জনের পজিটিভ ধরা পড়েছে।

জেলাভিত্তিক মৃত্যুর নিরিখে অবশ্য সবার আগে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা সংলগ্ন এই জেলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পিছিয়ে নেই কলকাতাও। শহরে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭ জন, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিংয়ে ৩ জন করে, পূর্ব মেদিনীপুর ও নদীয়ায় ২ জন করে, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুরে একজন করে মারা গিয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় টেস্ট আবার বেশ কিছুটা বেড়েছে। শুক্রবার মোট ৪৪ হাজার ৩৫১টি নমুনার কোভিড টেস্ট হয়েছে। রাজ্যে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় টেস্ট হয়েছে ৬৭,১৯২ জনের। গত কয়েক দিন ধরেই সংক্রমণের হার একটু একটু করে কমছে। শুক্রবার সংক্রমণের হার ছিল ৮.২১ শতাংশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours