নিজস্ব প্রতিবেদন: আপনার শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বেঁধেছে? তাহলে সম্ভবনা থেকে যায় আপনার সন্তানও বয়সকালে ডায়াবেটিসের রোগী হতে পারে। নিশ্চই ইতিমধ্যে, আপনি খাদ্য তালিকা থেকে ভাত–আলুকে বাদ দিয়েছেন! করোলা, লাউয়ের রস, কাঁচা হলুদ, কালমেঘ দিয়ে শুরু করছেন দিন? কিন্তু এমন জীবন আপনার সন্তানের হোক নিশ্চই এমনটা চান না? তাহলে আগেই সাবধান হয়ে যান।
World Diabetes Day 2020 তে প্রতিশ্রুতি নিন, নিজেও সুস্থ থাকবেন, সন্তানকেও ডায়াবেটিসের মতো স্লো পয়েজেনিং অসুখের হাত থেকেও রক্ষা করবেন।এখন প্রশ্ন কী ভাবে সন্তানকে ডায়াবেটিসের কবল থেকে দূরে রাখবেন?
টাইপ -২ ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী পরিস্থিতি যা আপনার দেহে সুগারের প্রভাবকে তরাণ্বিত করে। কোনও রকম চিকিৎসা ছাড়া, শরীরে ব্লাড সুগার তৈরি হতে শুরু করে এবং এর ফল দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক পরিণতি ধারণ করে। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গিয়েছে যে শিশুদের মধ্যে টাইপ -২ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়ছে। কিছু দেশে প্রায় মহামারীর মতো বাচ্চাদের মধ্যে টাইপ -২ ডায়াবেটিস রয়েছে। ওজন বৃদ্ধি, নিষ্ক্রিয়তা, পারিবারিক ইতিহাস, জাতিগত এবং গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের কারণে আক্রান্ত হচ্ছে বাচ্চারা।
গত এক দশকে, শারীরিক অনুশীলন বদলে গিয়েছে ভিডিও গেমস ও টিভি দেখায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘরের মধ্যে বন্দী থাকার জন্যই এর প্রবণতা বেড়েছে।  খাওয়ার অভ্যাসেরও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। দেশি লাড্ডুর মতো মিষ্টির জায়গা নিয়েছে  চকলেট এবং ক্যান্ডিজ। কাজেই, শরীরের অন্দরমহলে অতিসহজে আশকারা পাচ্ছে টাইপ -২ ডায়াবেটিস।
ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তৈরি করুন আপনার বাচ্চার খাবারের তালিকা। আপনি যদি একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করেন, তা সুস্থ জীবনযাপন করতে সহায়তা করবে।Monosodium glutamate একটি বিষাক্ত যৌগ যা প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে। এই উপাদানটি অল্প বয়সী মেয়েদের মধ্যে হরমোনজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং শিশুদের মধ্যে মনোযোগে ঘাটতি হতে পারে। এটি সরাসরি আপনার স্নায়ুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করে। এটি অগ্ন্যাশয়ের উপর ইনসুলিন তৈরির জন্য আরও চাপ সৃষ্টি করে। রক্ত প্রবাহে যত বেশি অব্যবহৃত ইনসুলিন তত বেশি ওজন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সফট ড্রিঙ্কস এবং আরও অন্যান্য প্যাকেটজাতীয় খাদ্য  স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এই ধরনের খাবার কেবল ওজন বাড়ানোর কারণেই নয়, এটি মারাত্মক স্বাস্থ্যের ক্ষতিও করে তোলে। খুব অল্প বয়সেই যতটা সম্ভব এড়ানো উচিত।চিনি খাওয়ার অভ্যাস কম করে দেওয়া উচিত। আপনি এক চা চামচ গুড় বা মধু ব্যবহার করতে পারেন।
শরীর চর্চা করতে হবে রোজ। ভিটামিন-ডি এর প্রভাব বাড়তে হবে শরীরে। আপনার সন্তানের গায়ে লাগতে দিন সকালের রোদ। 
শাক সবজি খাওয়ার অভ্যাস বাড়িয়ে দিন। প্রয়োজনীয় ভিটামিন A, C এবং Kএর তারতম্য সঠিক রাখুন আপনার সন্তানের শরীরে। 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours