এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED), কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)-র পর এবার নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর স্ক্যানারে রিয়া। নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইনের আওতায় রিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রে জানা গিয়েছে, নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স আইন, (Narcotic Drugs and Psychotropic Substances Act) ১৯৮৫ অনুযায়ী ২০, ২২, ২৭, ২৯ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে রিয়া এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।

সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে জানা গিয়েছে, ইডির তরফে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় NCB-র আধিকারিকদের জানান হয়, রিয়া মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট রিট্রিভ করে রিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন জনের মাদক নিয়ে কথোপকথনের উঠে এসেছে সেই তথ্য। সেই ড্রাগের ব্যবহার বা কেন তিনি সেই বিষয়ে আলোচনা করেছেন সেই বিষয়ে তদন্ত করুক নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো।  যদিও রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, রিয়া জীবনে কখনও মাদক নেননি। তিনি যে কোনও সময় রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত।

রিয়ার মাদকচক্রের সঙ্গে যোগসূত্র সংক্রান্ত চিঠি পেয়ে বুধবারই সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে যোগ দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। আর তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই প্রাথমিক তথ্য খতিয়ে দেখে রিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অর্থাৎ, শুধুমাত্র ড্রাগ নেওয়া বা সুশান্তকে ড্রাগের নেশায় আছন্ন করে রাখাই নয়, ব্যবসায়িক স্বার্থে ড্রাগের আদান-প্রদানের অভিযোগও আনা হচ্ছে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারাও যুক্তি হয়েছে মামলায়।

এনসিবি-র ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইডির তরফে চিঠি পেয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে যে রিয়া এবং সুশান্তের কাছে ড্রাগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই ড্রাগ কে বা কেউ ব্যবহার করেছিলেন কিনা তা বিশদে জানতে এনবিসি-কে তদন্ত করার আবেদন জানায় ইডি। রাকেশ আস্থানা জানিয়েছেন, NCB-র তরফে একটি দল গঠন করা হয়েছে। তাঁরাই এই মামলার তদন্ত করবে। জানা গিয়েছে, অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বনিম্ন ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে রিয়া চক্রবর্তীর।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours