চিনের সঙ্গে করোনা আবহে অশান্তির মধ্য়ে ভারতের হাতিয়ার ডিজিটাল স্ট্রাইক। লাদাখ সংঘাতের পরেই ভারতের তরফে এক ধাক্কায় ৫৯টি চিনা অ্যাপ অন্তর্বর্তীকালীন ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, আরও একগুচ্ছ অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে চলেছে ভারত। এবার সংখ্যাটা ৪৭। তালিকায় রয়েছে ই-কমার্স অ্যাপ আলি এক্সপ্রেস, গানের অ্য়াপ রেসোর রাশ এবং টেনসেন্টের বিপুল জনপ্রিয় অ্যাপ পাবজিও।
পাবজি তৈরি করেছে পাবজি কর্পোরেশন। এই সংস্থাটি দক্ষিণ কোরিয়ার। সংস্থাটির অতীতে নাম ছিল গিনো গেমস। এখন এই ইন্টারনাল গেম স্টুডিওটি, যার বাজারে পরিচিতি ব্লু হোল স্টুডিও নামে, চলছে ক্রাফটন গেম ইউনিয়নের ভর্তুকিতে। এই ক্রাফটন গেম ইউনিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ারারই সিওনগনাম অঞ্চলে অবস্থিত। শুধু পাবজিই নয়, এই সংস্থা এনমাস স্টুডিও, ডিলিউসান স্টুডিও, রেড সাহারা স্টুডিও নামক সংস্থাগুলিকেও ভর্তুকি দিয়ে সাহায্য করে। এরাই সব বিশ্বমানের গেম তৈরি করে, গেমিং দুনিয়ার ঈশ্বর বলতে এদেরকেই বোঝায়। কিন্তু এমন একটি সংস্থাকে কেন নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটবে সরকার? চিন যোগটাই বা কোথায়?দেখা যাচ্ছে এই ব্লু হোল স্টুডিও সংস্থার ১.৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে চিনা টেক জায়ান্ট টেনসেন্টের কাছে। ২০১৭ সালে চিনেই পাবজি নিষিদ্ধ হয়। এরপরেই আসরে নামে টেনসন্ট। তাঁরা পাবজির একটি তিনা সংস্করণ তৈরি করার প্রস্তাব নিয়ে আসেন। ২০১৮-এর মধ্যেই তৈরি হয়ে যায় পাবজির মোবাইল সংস্করণ পাবজি মোবাইল। টেনসেন্টের লোগোও রয়েছে তাতে। ফলে পাবজি মোবাইলের চিন যোগ নেহাত কম নয়। বলা চলে নিবিড়। এবং অনেকেই পাবজি এবং পাবজি মোবাইলের মধ্যে ফারাকটা গুলিয়ে ফেলেন। মোবাইলে মোবাইলে বিপুল বেগে ঘুরতে থাকে পাবজির চিনা সংস্করণটি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours