করোনার জেরে ভারতের অর্থনীতির মূল চাকা ধসে গিয়েছে। বহুদিন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ। ভারতের এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব অজয় ভূষণ পান্ডে জানিয়েছেন, জিএসটির নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকে জিএসটি বাবদ কেন্দ্র যা আয় করে তার একটি অংশ রাজ্য সরকার গুলিকে দিতে হয়। করোনার আগে থেকেই ধুঁকছিল দেশের অর্থনীতি। এরপর চার মাসের ওপর অর্থনৈতিক ক্রিয়া কান্ড বন্ধ।
অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ থাকার ফলে রাজস্ব আদায়ে টান পড়েছে বিপুল। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাসে যেখানে ৩.১৪ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি আদায় হয়েছিল, সেখানে এবছর হয়েছে মাত্র ১.৮৫ লক্ষ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় অর্ধেকে নেমে আসায় বিপাকে পড়েছে কেন্দ্র। অন্যদিকে রাজ্য সরকারগুলি এখনও প্রচুর টাকা পায় কেন্দ্রের থেকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরই পাওনা ৫৩ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্র এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির হাতে জিএসটি বাবদ টাকা তুলে দিলে কেন্দ্রের দৈনন্দিন খরচ চালানোর দায় হয়ে উঠবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাই রাজ্যের জিএসটি কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব জানিয়ে দিলেন, “এই পরিস্থিতিতে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে তা থেকে রাজ্যগুলিকে আগের হারে জিএসটির ভাগ দেওয়া সম্ভব নয়।“ কিন্তু কেন্দ্র কিভাবে জিএসটির আইন ভেঙে ফেলতে পারে সেই প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব বলেন জিএসটি আইনে আছে কোন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জিএসটি আদায়ের পরিমাণ যদি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে কমে যায় তাহলে রাজস্ব ভাগাভাগির অঙ্ক বদলে যেতে পারে। সেই আইনের ফাঁকেই এবার কোপ পড়ল রাজ্যগুলির অর্থে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে ২০১৯-২০ এর শেষ জিএসটির কিস্তি বাবদ ১৩ হাজার ৮০৬ কোটি রাজ্যগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours