করোনার প্রকোপ যত বাড়ছে ততই প্রথম সারিতে থাকা ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। কিছুদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন নাইসেডের অধিকর্তা। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এলেও বাড়ি ফেরা হয়নি আরও অনেক ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীর। করোনার থাবায় প্রাণ গিয়েছে তাদের। রবিবার পশ্চিমবঙ্গে একদিনে রেকর্ড সংখ্যায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২৭৮ জন। পূর্বের সব হিসেবকে ছাপিয়ে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের।

মৃত্যুর তালিকায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের দুই প্রবীণ ডাক্তার। আরজি করের রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান অভিজিত বসু (৭০) এবং এসএসকেএমের ফিজিক্যাল মেডিসিনের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অম্বর বল্লভ (৭১)।


সরকার সূত্রের খবর, ৩০ জুন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর পঞ্চসায়রের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিজিত বাবু। এক সপ্তাহ ধরেই তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় তাকে ভেনটিলেশনে রাখা হয়েছিল। করোনার পাশাপাশি তাঁর সিওপিডি, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল।

অন্যদিকে অম্বর বাবু সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার রাত পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। রবিবার সকালেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। সন্ধ্যায় ডাক্তারেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন বোরোতে একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য ভবনেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান কার্যালয়ের এক পদস্থ কর্তা ও চিকিৎসক সহ দুজন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে চিন্তা ক্রমশই বাড়ছে স্বাস্থ্য ভবনের।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours