উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় একসঙ্গে সারা দেশের সিনেমা হলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পর্যায় ক্রমে লকডাউন শিথিল করা হলেও, সিনেমা হল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি আজ পর্যন্ত। এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে হল মালিকদের মধ্যেও। তাঁদের বক্তব্য, মাসের পর মাস হল বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই হল কর্মীদের বেতন দিতেও দেখা দিচ্ছে সমস্যা।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অমিত খারের সঙ্গে শুক্রবার সিআইআই মিডিয়া কমিটির একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তবে তিনি এও জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব অজয় ভল্লা। অমিত খারে জানিয়েছেন তাঁর পরামর্শ মতো ১ অগস্ট থেকে ৩১ অগস্টের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সিনেমা হলগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া যায়।

দেশে করোনা থাবা বসানোর পরই ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন সিনেমা হল। মাঝে বার বার হল খোলার জন্যে দাবি উঠলেও সংক্রমণের আশঙ্কায় সেই দাবিকে আমল দেওয়া হয়নি।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকদের দেওয়া পরামর্শে জানানো হয়েছে অগস্ট মাস থেকে সারা দেশের সিনেমা হল খোলার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

তবে সিনেমা হল থেকে যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রথম সারিতে দুই দর্শকের মধ্যে একটি করে আসন ফাঁকা রাখার এবং তার ঠিক পিছনের সারির পুরোটাই ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছে। এই নিয়ম মেনেই পুরো হলের সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট সাজাতে বলা হয়েছে হল কর্তৃপক্ষকে। তবে এই পরামর্শ সম্পর্কে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অমিত খারের সঙ্গে বৈঠকে যে সব হল মালিকরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা অবশ্য এমন নির্দেশিকা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি আসন সাজানোর এই ফর্মুলা একেবারেই মানা যায় না। তাঁদের যুক্তি, মোট আয়তনের মাত্র ২৫ শতাংশ দর্শক দিয়ে হল চালু রাখায় যা ক্ষতি হবে তা বর্তমান পরিস্থিতির চেয়েও খারাপ। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মিডিয়া হাউস এবং টিভি চ্যানেলের সিইও, ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কর্ণধাররা এবং সিআইআই মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান।

দৈনিক নতুন সংক্রমণ শুক্রবারই পৌঁছেছিল ৪৯ হাজারের গণ্ডিতে। শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৯১৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৬১। ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৬১ জন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours