ইন্ডিগোর বিমান বাতিলের সুযোগেই কোপ মেরেছে অন্য এয়ারলাইন্সগুলি। ৭ হাজার টাকার টিকিট রাতারাতি হয়ে গিয়েছিল ৬০ হাজার টাকা! যাত্রীদের গুনতে হয়েছে ৫-৬ গুণ বেশি ভাড়া। বাধ্য হয়েই কেন্দ্রকে রাশ টানতে হয়। বেঁধে দেওয়া হয় বিমানের ভাড়া।


 ইচ্ছা মতো রেট নয়, সারা বছর বিমানের ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে? সরকার বলল...
বিমানের ভাড়া নিয়ে জবাব দিল কেন্দ্র।

ইন্ডিগোর শয়ে শয়ে বিমান বাতিল। আর সেই সুযোগেই কোপ মেরেছে অন্য এয়ারলাইন্সগুলি। ৭ হাজার টাকার টিকিট রাতারাতি হয়ে গিয়েছিল ৬০ হাজার টাকা! বাধ্য হয়েই কেন্দ্রকে রাশ টানতে হয়। বেঁধে দেওয়া হয় বিমানের ভাড়া। উড়ান সংস্থাগুলিও কেন্দ্রের সেই নিয়ম অনুসরণ করছে অক্ষরে অক্ষরে। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্রীয় সরকার কি সারা বছরের জন্য বিমান ভাড়া নির্দিষ্ট করে দিতে পারে না? সেই উত্তরও দিল সরকার।

শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর সংসদের লোকসভায় কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ানমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু জানালেন যে দেশজুড়ে বিমানের ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রের নিয়মের আওতার না থাকায় বরং লাভ হয় গ্রাহকদের, এমনটাই জানান তিনি। আরও জানান যে সারা বছর নয়, সাধারণত উৎসবের মরশুমেই বিমানের টিকিটের দাম বেড়ে যায়।


পাকিস্তানের ক্লাসরুমে শোনা গেল সংস্কৃত, পড়ানো হচ্ছে গীতা-মহাভারত! স্বাধীনতার পর প্রথমবার...
বিশ্লেষণ: রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের 'সর্বনাশ' করছে মিম!

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “সাধারণত উৎসবের মরশুমে বিমানের টিকিটের দাম বাড়ে কারণ নির্দিষ্ট রুটে এবং নির্দিষ্ট সময়ে বিমানের চাহিদা তখন বেড়ে যায়। দামের এই ওঠা-নামা মরশুম ভিত্তিক হয়। সারা বছরের জন্য ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব নয়। বাজারে চাহিদা ও সরবরাহ বিমানের টিকিটের দাম নির্ধারণ করে।”

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, এই নিয়মের বাঁধনের বাইরে রাখার ধারণার নেপথ্যে রয়েছে সেক্টরের বৃদ্ধি। সমস্ত দেশই দারুণ বৃদ্ধি দেখেছে মার্কেট থেকে নিয়মবিধি তুলে নিয়ে। এতে আরও অংশীদারিত্ব বাড়ে, সুযোগ বাড়ে। ডিমান্ড ও সাপ্লাই পদ্ধতি চলে স্বাভাবিক নিয়মে। আর এতে দিনের শেষে উপকৃত হন যাত্রীরাই।

ইন্ডিগোর সঙ্কটের পরই বিমানের ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্য প্রাইভেট মেম্বারস বিল পেশ করা হয়েছিল। সেই বিলের জবাবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই কথা জানান। বিমানের ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া সম্ভব না হলেও, কোম্পানিগুলিকে খোলা ছুট দেওয়া হচ্ছে, এমনটাও নয়। কেন্দ্র প্রয়োজন পড়লেই হস্তক্ষেপ করবে। করোনা সঙ্কট হোক বা মহাকুম্ভ, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার সময় যখন বিমানের ভাড়া আকাশছোঁয়া হয়েছিল, সেই সময়ও কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করে বিমানের টিকিটের দাম নিয়ন্ত্রণ করেছিল। এবার ইন্ডিগোর বিমান সঙ্কটের সময়ও একই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করোন যে বিগত কয়েক বছরে দেশে বিমান ভাড়া বরং কমেছে, সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে এসেছে বিমানের টিকিট।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours