নিজের বক্তব্যের সপক্ষে টেনে আনেন অমিত শাহের কথাও। সিএএ নিয়ে বলতে গিয়ে শান্তুনু বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আগেই বলে দিয়েছেন শুধু ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নয় ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা ভারতে এসেছেন তাঁরা ভারতবর্ষেই থাকবেন। 


এদের কেউ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে পাঠাতে পারবে না।”
SIR এ নাম বাদ গেলে বিকল্প CAA? শান্তনুর মন্তব্যে শোরগোল, ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা’, বলছে তৃণমূল
ফের বিতর্ক


হাতে আর ক’টা দিন। শুরুর আগেই এসআইআর নিয়ে চাপানউতোর চরমে। এরইমধ্যে এই এসআইআর নিয়েই চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এসআইআরে নাম বাদ গেলে সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবেন মতুয়ারা, দাবি শান্তনুর। উওর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে রবিবার আন্তর্জাতিক মতুয়া গোসাই সন্মেলনের আয়োজন করেছে শান্তনু ঠাকুরের অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহসংঘ। সেখানেই তিনি বলেন, “সম্মেলন থেকে সিএএ এবং এসআইআর নিয়ে বার্তা দেওয়া হবে মতুয়াদের। সিএএ সমাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, এসআইআর-ও জড়িত। আমরা বলব আপনারা সিএএ-তে আবেদন করুন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব যাঁদের ২০০২ সালের লিস্টে নাম নেই তাঁদের নাম যেন না কাটা হয়।” 

নিজের বক্তব্যের সপক্ষে টেনে আনেন অমিত শাহের কথাও। সিএএ নিয়ে বলতে গিয়ে শান্তুনু বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আগেই বলে দিয়েছেন শুধু ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নয় ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা ভারতে এসেছেন তাঁরা ভারতবর্ষেই থাকবেন। এদের কেউ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে পাঠাতে পারবে না।” কিন্তু এসআইআরের পর নাম বাদ গেলেও অন্তুর্ভূক্তি কী করে সম্ভব? শান্তনু যদিও বলছেন, “একটা নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আর একটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। এসআইআরে নাম বাদ গেলে সিএএ করা মানে তো সে নাগরিক। আর নাগরিক মানে তো ভারতের নাগরিক। নাগরিক হলেই তাঁর ভোটার কার্ড থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই এই লোকগুলো তো ভারতের নাগরিক হবে। তাই আমরা আবেদন করতেই পারি।”


পাল্টা খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কুণাল ঘোষ বলছেন ক্ষতির আঁচ পেয়েই এসব বলছেন শান্তনু। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “এসআইআরে সবথেকে বেশি ক্ষতি হতে চলেছে মতুয়া সম্প্রদায়ের। সেটা বুঝেই শান্তনু শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন।”    
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours